Thank you for trying Sticky AMP!!

দিল্লি জয় ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানির

প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় বিরিয়ানি উৎসবে অতিথিরা

কথায় বলে, মন জেতার সেরা ঠিকানা হেঁশেল। বাঙালির হেঁশেলে বাংলাদেশের ইলিশ ও বাঙালি রমণীর হৃদয়ে ঢাকাই জামদানির কদর যদি সবার আগে হয়ে থাকে, অবশিষ্ট ভারতের মন জয়ের জন্য তা হলে হাজির ঢাকাই বিরিয়ানি। ঢাকার বিখ্যাত ফখরুদ্দিন বাবুর্চির ‘কাচ্চি বিরিয়ানি’ ঠিক সেটাই করল। রসনাকে তৃপ্ত করে মন জিতে নিল রাজধানী দিল্লির।

প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় গত শুক্রবারের সন্ধ্যা-রাত ম ম করে তুলল ফখরুদ্দিন বাবুর্চির বিরিয়ানি। বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ঢাকা থেকে দিল্লি আসেন প্রয়াত ফখরুদ্দিনের পুত্র মহম্মদ রফিক ও তাঁদের সংস্থার চিফ শেফ আবদুর রাজ্জাক। প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। হাইকমিশনের পদস্থ কর্তারাও সপরিবার উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার একটি স্কুলের নৈশপ্রহরীর চাকরি থেকে ফখরুদ্দিন কীভাবে একদিন দেশের সেরা বিরিয়ানি শেফ হয়ে উঠলেন, সাংবাদিকদের সেই কাহিনি শোনান হাইকমিশনার। হাইকমিশনের মিনিস্টার প্রেস ফরিদ হোসেন বলেন, ভারতে অনেক ধরনের বিরিয়ানি চালু আছে। অবধি বিরিয়ানি, হায়দরাবাদি বিরিয়ানি, আলু ও ডিম দেওয়া কলকাতার বিরিয়ানিও প্রসিদ্ধ। ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি এদের থেকে স্বতন্ত্র। তবে ফখরুদ্দিন বাবুর্চি ঢাকায় যে ধরনের চাল ব্যবহার করে, দিল্লিতে তা ব্যবহার করা হয়নি। এখানে বিরিয়ানি রান্না হয়েছে বাসমতী চালে।

ফখরুদ্দিন বাবুর্চির কাছে দিল্লি নতুন নয়। দুই বছর আগেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে রাজধানীর মানুষজনের পরিচয় তাঁরা করিয়ে ছিলেন। সেবার বিক্রি হয়েছিল দশ হাজার প্লেট বিরিয়ানি। এবার প্রেসক্লাবে যা আয়োজন করা হয়েছিল, দুই ঘণ্টায় সব শেষ।

ঢাকাই বিরিয়ানির সেরা পরিচয় ‘ফখরুদ্দিন বাবুর্চি’ বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে ঘাঁটি গেড়েছে সিডনি, দুবাই ও লন্ডনে। ইচ্ছে রয়েছে দিল্লিতেও একটা পাকাপাকি ডেরা বাঁধার।