Thank you for trying Sticky AMP!!

দীপ্তি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্তির ‘দীপ্ত কৈশোর’

কিশোরী দীপ্তি চৌধুরী এই বয়সকে উদ্ভাসিত করতে লিখেছে দীপ্ত কৈশোর নামে একটি বই। দীপ্তি তার নিজের অভিজ্ঞতায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেছে, জানাতে চেয়েছে সমবয়সী সবাইকে। গত ৯ এপ্রিল দীপ্ত কৈশোর বইটির অনলাইন প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বয়ঃসন্ধিকালে অজস্র প্রশ্ন এসে উঁকি দেয় মনে, যার মধ্যে অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা থাকে কিশোর-কিশোরীর। কিশোরী দীপ্তি চৌধুরী এই অধ্যায়কে উদ্ভাসিত করতে লিখেছে দীপ্ত কৈশোর নামে একটি বই। দীপ্তি তার নিজের অভিজ্ঞতায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেছে, জানাতে চেয়েছে সমবয়সী সবাইকে। গত ৯ এপ্রিল দীপ্ত কৈশোর বইটির অনলাইন প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

দীপ্তি চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলা সদরের শিবলী চৌধুরী ও দিপালী চৌধুরীর মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে দীপ্তি ছোট। উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে ঢাকার হলি ক্রস কলেজে পড়ছে।

২০১৬ সালে স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয় দীপ্তি। কিশোর-কিশোরীদের জীবনমান ও সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সে। ওই বছর এই সংগঠনের বছরের সেরা স্বর্ণকিশোরী নির্বাচিত হয়। ২০১৮ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত পুষ্টি সমাবেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দীপ্তি।

দীপ্তি চৌধুরী বলে, ‘আমাদের দেশে কৈশোরকে একটা বিপদ মনে করা হয়। এটা বিপজ্জনক সময়, আমরা যারা কিশোর-কিশোরী থাকি, ধরেই নিই এটা খুব খারাপ সময়। কেন এমন হচ্ছে? আমাকে কেউ বুঝতে পারছে না, আমি কি সবার থেকে আলাদা? এমন প্রশ্ন আসে মনে। আবার আমার আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁরাও মনে করেন, ও কেন এমন হয়ে গেল। খুব চিন্তার বিষয়। কিন্তু এই কৈশোর আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমি কাজ করতে গিয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। আমি যেহেতু গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেছি, তাই প্রত্যক্ষভাবে বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছি—কৈশোর কতটা অবাঞ্ছিত আমাদের জীবনে। আর কত রকমের কুসংস্কার আছে জীবনে।’

কিশোর-কিশোরীদের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে কাজ করে ভুলগুলো বুঝতে পেরেছে দীপ্তি। তার ভাষায়, ‘আমি যা দেখছি, যা হচ্ছে তা তো আসলে ঠিক না। সেই চেষ্টা থেকে কৈশোরকে যেন আমরা বরণ করে নিতে পারি, সে জন্যই আমার দীপ্ত কৈশোর বইটি লেখা।’

দীপ্ত কৈশোর বইয়ে কেন কৈশোর গুরুত্বপূর্ণ, প্রথম পরিবর্তন, বাবা-মায়ের সন্তান, চলো নিজেকে জানি, জীবন সুন্দর, আমাকে কেউ বোঝে না, ব্যাপারটা ভয়ংকর, যৌন নিপীড়ন, নিজের যত্ন, মানসিক স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি অধ্যায়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরছে দীপ্তি চৌধুরী।

দীপ্তি স্বপ্ন দেখে বাল্যবিবাহমুক্ত নিরাপদ আর সুস্থ কৈশোরের এক বাংলাদেশ।