Thank you for trying Sticky AMP!!

দুনিয়াজোড়া দুঃসাহসী কাণ্ড

স্পেনের ষাঁড়দৌড়

স্পেনের প্যামপ্লোনা অঞ্চলে আয়োজন করা হয় ষাঁড়দৌড়ের। প্রতিবছর জুলাই মাসে হয় এটি। খেলার শুরুতেই কয়েকটি ষাঁড় একত্রে ছেড়ে দেওয়া হয় রাস্তায়, সামনে থাকেন শত শত মানুষ। ষাঁড়ের গুঁতা থেকে বাঁচতে সমানে দৌড়াতে শুরু করেন সবাই। আপাতদৃষ্টিতে অনেক ভয়ংকর আয়োজন মনে হলেও অংশগ্রহণকারীদের কাছে অতটা ভয়ের নয়।  তবে রোমাঞ্চের টানে অংশ নিয়ে বিপদেও পড়েন অনেকে। এই খেলায় অংশ নিয়ে গত ১০০ বছরে প্রায় ১৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ষাঁড়ের গুঁতায় আহত হন প্রতিবছর শ খানেক মানুষ।

বরফে কুকুর-টানা গাড়ির প্রতিযোগিতা

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় একঝাঁক কুকুর-টানা স্লেজ গাড়ির গতির লড়াই। বার্ষিক এই প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক নাম ইডিটারড ট্রেইল স্লেজ ডগ রেস। প্রায় আট দিন সময় নিয়ে এক হাজার মাইল পাড়ি দিতে হয় একেকটা কুকুর-টানা স্লেজ গাড়িকে। দুঃসাহসিক এই যাত্রার সময় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে যায়। সঙ্গে তুষারপাত এবং বাতাসের তুমুল বেগ তো আছেই।

তিয়াহুপো’ওতে সার্ফিং

বিশাল প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যখানে ছোট দ্বীপ তাহিতি। তাহিতির সমুদ্রসৈকত তিয়াহুপো’ওতে প্রতিদিন আছড়ে পড়ে হাজারো ঢেউ। সেই ঢেউ যেমন প্রকাণ্ড, তেমনি শক্তিশালী। তাই দুঃসাহসী সার্ফারদের তীর্থস্থান বলা চলে তাহিতির তিয়াহুপো’ওকে। প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সার্ফাররা উত্তাল প্রশান্ত মহাসাগরের সব প্রকাণ্ড ও শক্তিশালী ঢেউ মোকাবিলা করে সার্ফিং করার জন্য ছুটে যান সেখানে।

নরকের দরজা

মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানে অবারিত হয়ে আছে নরকের দরজা। শুনে একটু ধাক্কা লাগলেও ব্যাপারটা ঠিক মিথ্যাও নয়। ৪০ বছর আগে তুর্কমেনিস্তান যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, তখন কারাকুম মরুভূমির দারভেজ অঞ্চলের একটি গ্যাসকূপের জন্য মাটি খননের সময় পুরো কূপ বেশ নিচে দেবে যায়। পরে বিজ্ঞানীদের পরামর্শে পুরো কূপেই আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই আগুন ৪০ বছর পরও এমনভাবে জ্বলছে, যেন সামনে থেকে দেখলে মনে হয় সাক্ষাৎ নরক। তাই এই স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নরকের দরজা’!  প্রতিবছর হাজারো সাহসী পর্যটক এই নরকের দরজাকে কাছে থেকে দেখতে ভিড় জমান তুর্কমেনিস্তানে।

ইঙ্গা অববাহিকায় কায়াকিং

যুদ্ধ, অরাজকতাসহ নানা কারণেই পর্যটকেরা হয়তো ভ্রমণগন্তব্য হিসেবে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোকে বেছে নেবেন না। তবে কায়াকিং করতে ভালোবাসেন, এমন মানুষদের জন্য কঙ্গো একটি আদর্শ জায়গা। এই দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা কঙ্গো নদীর ইঙ্গা অববাহিকাকে ধরা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে খরস্রোতা অববাহিকাগুলোর একটি হিসেবে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার ধরে বয়ে চলা এই অববাহিকার শেষ হয় ৯৬ মিটার উঁচু ইঙ্গা প্রপাতের মধ্য দিয়ে। কায়াকিং পছন্দ করেন, এমন দুঃসাহসীরা প্রতিবছর জড়ো হন এই অববাহিকায় কায়াকিং করতে।