Thank you for trying Sticky AMP!!

ধুলার মধ্যে বসবাস!!!

কুশনের কভার বদলে নিন কয়েক দিন পরপর। ছবি: নকশা

ঝরা পাতা আর রুক্ষ আবহাওয়ার দিন শুরু হচ্ছে সামনে। সামনের কয়েকটি মাস ধুলাবালিরও। অবশ্য এখনই সেই আগমন টের পাওয়া যাচ্ছে। ঘর পরিষ্কার করতে না–করতেই আবার নোংরা হয়ে যাচ্ছে। পুরোপুরি ধুলাবালিমুক্ত হতে না পারলেও তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় আছে।
ফারজানা’স ব্লিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা গাজী জানালেন, এ সময়টায় ধুলাবালির হাত থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় নেই। তবে চেষ্টা করতে হবে, সেই প্রকোপটা যেন একটু কম হয়। সে জন্য দরজা–জানালাটা একেবারে খোলা না রাখাই ভালো। পাপোশ, ম্যাট্রেস বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে, যেন ধুলা ঘরে আসার আগে বাধা পায়। এ সময় জানালায় একটু ভারী পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহার করা যায় দুই স্তরের পর্দাও। পেছনে হালকা আর ভেতরে ভারী পর্দা থাকলে ধুলাগুলো হালকা পর্দাতেই আটকে যাবে। তবে শুধু ব্যবহার নয়, নিয়মিত সেসব পরিষ্কার করার কথাও বললেন ফারজানা গাজী। নিয়মিত রোদে দেওয়াও দরকার। বাজারে নানা পরিষ্কারক পাওয়া যায়, সেসব ব্যবহার করলে পোকামাকড়ও কম হবে। জীবাণুনাশকের সুবাসে ময়লাও দ্রুত পরিষ্কার হবে।
কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দেন ফারজানা গাজী। যেমন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করে ঘর সহজেই পরিষ্কার রাখা যায়। নিয়মিত ফ্যান পরিষ্কারের দিকেও নজর রাখা উচিত। কারণ, সেটার ময়লা সহজেই সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বাইরের জুতা নিয়ে ঘরে চলে আসে, সেটা এড়িয়ে চলতে পারলে ঘরে ধুলোর প্রকোপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ধুলাবালি থেকেই অনেকের অ্যালার্জি হয়। ৭ দিন বা ১০ দিনে একবার করে নিয়মিত বিছানার চাদর বদলানোতে গুরুত্ব দিন। সোফার কভার বদলাতে না পারলেও কুশনের কভার বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। কম্বল বা মশারি যতটা সম্ভব কভারের ভেতরে রাখা উচিত। তবে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যাপক সেলিনা আখতার মনে করেন, এই সময়ে কার্পেট একটু কম ব্যবহার করা উচিত। কারণ, তাতে ধুলা বসে বেশি। বলেন, বৃষ্টি থাকে না বলে এই সময়ে ধুলাবালি বেশি হয়। অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণে ধুলাবালি বড় কারণ হয়ে যায়। ফলে ম্যাট, কার্পেট, ভারী পর্দা, বিভিন্ন আসবাবে ধুলার আস্তরণ জমে। এর কারণে হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট হয়। এতে বেশি ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা।
দরজা খুলে রাখলে ময়লা আসবে, আবার বন্ধ রাখলে রোগ ছড়াবে। সে জন্য দরজা–জানালা খোলা রেখে দিনের ময়লা দিনেই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ফ্লোর থেকে শুরু করে জানালার গ্রিল, পর্দা হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলে ভালো। তাতে ধুলা ওখানে স্থায়ী হতে পারবে না।
বিভিন্ন ধরনের পরিষ্কারক স্প্রে করে সবকিছু পরিষ্কার করা যায়। পাখির পালকের ডাস্টার, ঝাঁটা ব্যবহারের ফলে ধুলা আরও ছড়িয়ে যায়। এ সময় টবে কিছু গাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে পরিবেশে স্নিগ্ধতা আসবে। ধুলা পরিষ্কারে কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার কথাও বলেন তিনি—এতে ধুলাটা চোখে, শরীরে সরাসরি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। প্রাকৃতিক কিছু জীবাণুনাশক যেমন নিম পাতার রস বা লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে ঘর পরিষ্কার করা যায়। এসব দিয়ে ঘর পরিষ্কার করলে জীবাণু ও ধুলাবালি কম হবে খানিকটা হলেও।