Thank you for trying Sticky AMP!!

পঙ্কজ ভট্টাচার্য, উজানে তরী বাওয়া মাঝির মতো

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা। ছবি: প্রথম আলো

তরুণ বয়সে গ্রহণ করা আদর্শ ধারণ করেই ৮০ বছর পার করে দিয়েছেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। সমকালীন রাজনীতির স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেননি। অর্থ-প্রতিপত্তি-ক্ষমতা-লোভ তাঁকে কখনো বিচ্যুত করতে পারেনি। উজানে তরী বাওয়া মাঝির মতো কাজ করছেন আদর্শ বাস্তবায়নে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তাঁর। নিজের সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে সব সময় অবিচল তিনি।

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শওকত ওসমান মিলনায়তনে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তাঁকে নিয়ে এসব কথা বলেন রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানের সভাপতি, পঙ্কজ ভট্টাচার্য এর ৮০ তম জন্মদিন উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকে কখনো বিচলিত হয়নি পঙ্কজ। তাঁর সেই স্বপ্ন সেই স্বপ্ন বৃথা যাবে না। আজ না হোক, কাল তা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে।

পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্টজনেরা। ছবি: প্রথম আলো

মঙ্গলদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৫০ টির বেশি সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় অনুষ্ঠানে। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, যারা রাষ্ট্রের নব্য দখলদার হয়েছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দেশ গড়তে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সমতার বাংলাদেশ গড়তে ৮০ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮০ লাখ কিলোমিটার ঘুরেছেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। আরও ২০ লাখ কিলোমিটার ঘোরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ন্যাপের প্রতীক কুঁড়েঘরের চেতনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৃহত্তর শক্তি গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিরোধী দল হতে প্রগতিশীল রাজনীতিতর সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন একাধিক নেতা।

নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ফুলে ফুলে মঞ্চে বরণ করে নেওয়া হয় পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে। ছবি: প্রথম আলো

জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে বর্ণাঢ্য করতে নাচ, গান, আবৃত্তির আয়োজন ছিল। আনন্দলোকে, মঙ্গললোকে গানে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ফুলে ফুলে মঞ্চে বরণ করে নেওয়া হয় পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে। নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন ফেরদৌস আরা। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের ওপর একটি তথ্যচিত্রও তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। শুরুতে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের উদ্দেশে উপস্থাপিত মানপত্র পড়ে শোনান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

অনুষ্ঠানে আরও শুভেচ্ছা জানান সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, সাম্যবদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান, জাসদ একাংশের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়া, নারীনেত্রী আয়শা খানম প্রমুখ।