পরচুলার যত্ন
ফ্যাশনে পরচুলা বা উইগের চল নতুন নয়। নানা রকম স্টাইলিস্ট উইগ মাঝেমধ্যে অনেকেই পরেন। উইগ! শব্দটা শুনলে প্রথমেই মাথায় আসে—এটা মানানসই কি না। পুরো সাজসজ্জা বা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরচুলা খাপ খাচ্ছে কি না, সেটাই আসল কথা।
পরচুলা আছে নানা রকমের। আর এর যত্নও নিতে হয় ঠিকমতো। সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান বললেন, ‘কৃত্রিম চুল বা উইগ মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে, প্রাকৃতিক চুলে তৈরি উইগ এবং কৃত্রিম উইগ। এ ছাড়া প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম চুলের মিশেলে তৈরি উইগও পাওয়া যায়। এটা ব্যবহারের জন্য ভালো। এ ধরনের উইগ অতিরিক্ত গরমে গলে যায় না আর রক্ষণাবেক্ষণও সহজ।’
পরচুলা ভালো রাখতে বাজারে যে বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা দরকার। কারণ সাধারণ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারে থাকা রাসায়নিক উপাদান উইগের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো উইগে থাকা চুলের টেক্সচার নষ্ট করে দেয়। ফলে জট বেঁধে যায়।
পরচুলা পরিষ্কার করার সময় সতর্কতা জরুরি। এ ছাড়া পরচুলা খুব বেশি ঘষামাজা করা ঠিক নয়। পানিতে একটু শ্যাম্পু গুলিয়ে, তাতে উইগ ডুবিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণের জন্য। এরপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আরও ভালো হয় যদি প্রথমে উষ্ণ পানিতে ধুয়ে আবার ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেওয়া যায়। এরপর শুকিয়ে নিতে হবে। পরচুলা আঁচড়ানোর জন্য আলাদা চিরুনি ব্যবহার করা ভালো।
খেয়াল রাখুন
*পরচুলায় হেয়ার স্প্রে কিংবা শাইন স্প্রে ব্যবহার করা একদম ঠিক নয়। এগুলো চুলকে আঠালো করে তোলে। তবে প্রাকৃতিক চুলে তৈরি পরচুলায় এসব ব্যবহার করা যাবে। কার্লিং আয়রন, স্ট্রেটনার কিংবা হেয়ার ড্রায়ারের মতো স্টাইলার ও সিনথেটিক পরচুলায় ব্যবহার করা যাবে না। এতে পরচুলা গলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* গোসল করার সময় তো বটেই, সুইমিংপুলে নামার আগে বা বৃষ্টিতে ভেজার আশঙ্কা থাকলে পরচুলা খুলে রাখা উচিত। ঘুমানোর সময় পরচুলা মাথায় না রাখাই ভালো।
*পরচুলা ব্যবহার না করলে হুকে টাঙিয়ে রাখা যেতে পারে। ধুলাবালু থেকে মুক্ত রাখার জন্য ঢেকে রাখতে হবে।
* উইগ পরলেও আসল চুলের যত্ন নিতে ভুলে গেলে চলবে না। চুল সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। আর উইগ পরার আগে চুল টান টান করে বেণিতে বেঁধে নিয়ে উইগ ক্যাপ পরে নেওয়া ভালো।