Thank you for trying Sticky AMP!!

পানির দাম বাড়লে খরচ কমাবেন যেভাবে

>

পানির দাম বাড়লেও মাসের খরচ কমানোর কিছু উপায় বের করেছেন মো. রায়হান কবির (প্রয়োগ করে দেখুন, বিফলে মূল্য ফেরত!)

খবর: ঢাকা ওয়াসা গ্রাহকদের বিশুদ্ধ পানি দিতে না পারলেও রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জে পানির দাম আবার বাড়াচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে মোট দামের ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। (সূত্র: প্রথম আলো, ৯ মে ২০১৮)

পানির বদলে দুধ

এটা প্রমাণিত, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে বিক্রি হওয়া খোলা দুধে ওয়াসার পানিই মেশানো হয়। ফলে প্রতিদিন দুধ পান করলে কষ্ট করে ওয়াসার পানি পান করার দরকার নেই। সেই দুধেই আপনার পানির প্রয়োজন মিটে যাবে। পুষ্টি আর তেষ্টার এমন অপূর্ব ককটেল আর কোথায় পাবেন এত সস্তায়?

সবজির বদলে শাক

কাঁচাবাজারে গেলে দেখবেন, শাকসবজি বিক্রেতারা বিক্রির আগে পানি ছিটিয়ে শাকসবজির জ্ঞান ফেরান। প্রচুর পরিমাণে ওয়াসার পানি ছেটানোর পর শাকসবজির জ্ঞান ফিরলে তবেই সেগুলো বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। তবে সবজির তুলনায় শাকের ওপরেই বেশি পানি ঢালতে হয় বিক্রেতাদের। ফলে শাক কিনলে পানি ফ্রিতেই মেলে। তাই বাড়তি পানির আশায় ওয়াসা ভবনের পাশে অবস্থিত কারওয়ান বাজার থেকে বেশি বেশি শাক কিনুন।

বাসা নিন জলাবদ্ধ এলাকায়

ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় ওয়াসা সরাসরি পানি দিতে পারে না। তবে সেটা পুষিয়ে দেয় একটু ঘুরিয়ে। যেমন কিছু এলাকায় পানির সংকট থাকলেও সেখানে তাদের পাইপলাইন খোঁড়াখুঁড়ি চলতেই থাকে। এ কারণে একটু বৃষ্টি হলেই প্রাকৃতিক জলাধারে পরিণত হয় ওই এলাকার রাস্তাঘাট। তাই আরামদায়ক এলাকা ছেড়ে জলাবদ্ধ এলাকায় বাসা নিন। ভাড়া কম হবে, বিল না দিয়েই ব্যবহার করতে পারবেন অফুরন্ত পানি।

কদর করুন ছিঁচকাঁদুনের

আমাদের আশপাশে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদের কথায় কথায় চোখে জল চলে আসে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এদের কদর করুন। ছোট ছোট পানির প্রয়োজনে তাঁরা আপনার কাছে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন। তাঁদের চোখে জল আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাটুকু অবশ্য আপনাকেই নিতে হবে। যেমন কেউ কেউ হিন্দি সিরিয়াল দেখলেই কেঁদে ফেলে, কেউ আবার প্রোফাইল পিকচারে ‘হা হা’ রিঅ্যাকশন পেলেও চোখের জল নাকের জল এক করে ফেলে। সুতরাং ছিঁচকাঁদুনেদের আর উপহাস নয়, কদর করুন।

চিড়া ভেজাতে পানি নয়

আমরা বলি, ‘শুকনা কথায় চিড়া ভেজে না’। তার মানে আর্দ্র কথায় চিড়া ভেজে। সমাজের সবাই যে শুকনা কথা বলে এমন নয়। তাই আপনার আশপাশের তেমন লোকদেরই খুঁজে বের করুন, যাদের কথায় চিড়া ভেজে। এর ফলে চিড়া ভেজানোর মতো পানি বেঁচে যাবে।

অনুসরণ করুন সফদার ডাক্তারকে

ছড়াকার হোসনে আরা লিখেছিলেন, ‘সফদার ডাক্তার মাথাভরা টাক তার/খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে...’। ছড়াকার যখন লিখেছেন তখন আমরা বুঝিনি ডাক্তার সাহেব কেন পানি চিবিয়ে খেতেন, তিনি কেন পানি পান করতেন না। এখন আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি, পান করলে পানি পরিমাণে বেশি লাগে, আর চিবিয়ে খেলে লাগে অনেক কম। তাই পানির খরচ কমাতে সফদার ডাক্তার বনে যেতে পারেন।