Thank you for trying Sticky AMP!!

পুঁইশাক প্রতিদিন

সম্ভব হলে প্রতিদিন পুঁইশাক খাদ্যতালিকায় রাখবেন

ঘন সবুজ পাতা আর লাল রঙের লতানো ডাঁটা। পাওয়া যায় শহর-বন্দর সব জায়গাতেই। আর গ্রামে যাঁদের এক চিলতে উঠান আছে, উঠানের পাশে মাচা বাঁধেন এর। এটি হলো পুঁইশাক।
বাংলাদেশের জলবায়ু পুঁইশাকের জন্য খুবই অনুকূল। তাই সামান্য যত্নআত্তিতেই পুঁইগাছ পুষ্ট হয়ে ওঠে। পুঁইশাক যাঁরা যত্ন করে খান, জেনে হোক বা না জেনে হোক, তাঁদের পুষ্টির চাহিদা তো মিটছেই, উপরন্তু অনেক রোগও দূরে থাকছে। পুঁইশাক কেন খেতে হবে, জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, পুঁইশাকে আছে প্রচুর আঁশ। এ ছাড়া নানা ধরনের ভিটামিনে সমৃদ্ধ শাকটি একদিকে যেমন অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পুঁইশাকের আরও যে গুণ, তা জেনে নেওয়া যাক এখনই।
 পুঁইশাক দেখতে যেমন সুন্দর, পুষ্টিগুণেও অনন্য। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর খনিজ। ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বিতেও সমৃদ্ধ পুঁইশাক।
 পুঁইশাকে স্যাপোনিন নামক একধরনের পদার্থ আছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
 পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হবে।
 যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পুঁইশাক খুব ভালো। শাকটি খেলে তো ভালোই, অন্যথায় বেটে ব্রণের ওপর লাগালেও উপকার পাবেন।
 পুঁইশাক প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
 কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য পুঁইশাক হতে পারে ভালো দাওয়াই।
 শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে পুঁইশাক।
 পুঁইপাতার রসে একটু চিনি মিশিয়ে জুস করে খেতে পারেন; এতে নাক ও গলার সংক্রমণ দূর হবে।
 যাঁদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, পুঁইশাক খাবেন নিয়মিত।
যে শাকের এত গুণ আর চাইলেই মিলছে যখন হাতের কাছে, তাহলে পুঁইশাক কেন প্রতিদিন নয়!