Thank you for trying Sticky AMP!!

মায়ের প্রেরণায় পথচলা

ইসরাত জাহান

‘মেয়েটির মধ্যে বহুমুখী প্রতিভা আছে। ও আমাদের কলেজের গর্ব’, ইসরাত জাহান সম্পর্কে এই হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়ার মন্তব্য। উপস্থাপনা, আবৃত্তি, বিতর্ক, নাচ, গান ও অভিনয়ে পারদর্শী এই শিক্ষার্থী যে ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ, বুঝতে অসুবিধা হয় না। কলেজের শিক্ষার্থীরা তো বটেই, শহরের সংস্কৃতিকর্মীরাও ইসরাতকে ‘ইমা’ নামে চেনেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন তিনি।

ইসরাত বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্কুলের, পাড়ার নানা অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন আমার মা। এসবে আমার মা সেলিনা আক্তারের যে কী ভীষণ উৎসাহ, বলে বোঝানো যাবে না। একদিকে সংসার আগলে রেখেছেন, অন্যদিকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য আমাকে তৈরি করেছেন।’ 

এ বছরের ১৭ মার্চ টেলিভিশন বিতর্কে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলকে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। ইসরাত ছিলেন দলের প্রথম বক্তা। তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদের কর্মশালা, সাহিত্য ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। বিভাগের সাংস্কৃতিক সংঘ ‘ঐক্যতার তান’–এর  প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। 

২০১৭ সালে কলেজের বাংলা ও ইংরেজি আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছেন একধিকবার। উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম হয়েছেন। অভিনয়, গান, নাচেও সেরা তিনি। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বহুবার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ বিতর্ক পরিষদ আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আন্তবিভাগ ও আন্তবর্ষে সাতবার শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হয়েছেন। প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার আয়োজনে একাত্তরের চিঠি পাঠ অনুষ্ঠানে হয়েছেন দ্বিতীয়। কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের কবিতা আবৃত্তিতে প্রথম হয়েছেন। এ ছাড়া আবৃত্তি ও বিতর্কে পুরস্কার আছে আরও অনেক। নানা কিছুতে অংশ নিলেও উপস্থাপনা ও আবৃত্তিই তাঁকে বেশি টানে।

ইসরাত স্নাতকোত্তর শেষে দরিদ্র নারী ও শিশুদের জন্য কাজ করতে চান। এ ক্ষেত্রে ভিনদেশি সাহায্য সংস্থার চাকরিই তাঁর পছন্দ। সেই সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চাও থাকবে সারা জীবন। 

ইসরাত জাহান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ