Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্ততা নানা কার্যক্রমে

মাহদীন আল নাফি

মাহদীন আল নাফি। পড়ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষে। ‘স্কুলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার হিসেবে বই দেওয়া হতো। ছোটবেলা থেকেই আমি বই পড়তে ভালোবাসতাম। তাই বইয়ের লোভে বিভিন্ন সময় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম আবৃত্তি বিভাগে। দেখা যেত বেশির ভাগ সময় দ্বিতীয় স্থান লাভ করতাম। এভাবেই একসময় আবৃত্তির প্রতি ভালোবাসা শুরু হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর যুক্ত হই মাভৈ আবৃত্তি সংসদে।’ বলছিলেন মাহদীন। 

শাবিপ্রবির অনেকগুলো সংগঠনের মধ্যে একটি স্বপ্নোত্থান। ক্যাম্পাসে আসার পরপরই স্বপ্নোত্থানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মাহদীন। সাধারণ সদস্য থেকে একসময় স্বপ্নোত্থানের নবম কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মাহদীন বলেন, ‘স্বপ্নোত্থান মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে। ভোলানন্দ নৈশ বিদ্যালয় নামে সিটি করপোরেশনের আওতায় একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা বিনা পারিশ্রমিকে ক্লাস নেয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে চ্যারিটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজনও করে স্বপ্নোত্থান।’  

সময়-সুযোগ পেলেই আবৃত্তি ও উপস্থাপনার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন মাহদীন। বিভাগের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মাহদীন বলেন, ‘২০১২ সালে প্রথম আলো থেকে জিপিএ–৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হল ভর্তি মানুষের সামনে আমি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তি করি। এত মানুষের সামনে এর আগে কখনো মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবৃত্তি করিনি। এটা আমার জীবনের অনেক স্মরণীয় একটি মুহূর্ত।’ 

জামালপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন মাহদীন। অবসর সময়ে বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। এ ছাড়া ব্যাডমিন্টন খেলার প্রতি রয়েছে প্রচণ্ড আগ্রহ। ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং রানারআপ হয়েছেন বেশ কয়েকবার। শাবিপ্রবির এই শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান। পাশাপাশি বিসিএসের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।