Thank you for trying Sticky AMP!!

রোজার বাজার

বাজারে পণ্যের দাম ওঠানামা করে। কারওয়ান বাজার ঘুরে ১৩ মে পর্যন্ত বাজারদর এখানে দেওয়া হলো।

রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে কিছুটা তারতম্য দেখা যায়। তপ্ত রোদ আর হুটহাট বৃষ্টির এই আবহাওয়ায় রোজা রেখে রোজ রোজ বাজারের থলে হাতে বাজারে পা রাখা কিছুটা কষ্টের। সে ক্ষেত্রে রমজান মাসের শুরুতেই একসঙ্গে সেরে নিতে পারেন পুরো মাসের বাজার। বিশেষ করে পচনশীল নয় এমন জিনিস আগ বাড়িয়ে নিশ্চিন্তে কিনে রাখা যায়। পরিবারের সদস্যসংখ্যা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে মাসের বাজেট বা বাজার করার আগে দেখে নিন নানা পণ্যের দাম। ঢাকার কারওয়ান বাজার ঘুরে পাওয়া তথ্যগুলোই তুলে ধরা হলো এখানে।

বাজার তালিকায় ইফতারের মূল উপাদানগুলোর মধ্যে প্রতি কেজি মুড়ি পাবেন ৬০-৭০ টাকা, ছোলা ৭৫-৮৫ টাকা, বুট ৬৫-৭০ টাকা, চিড়া ৬০-৭০ টাকা, খেজুর ২০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।

চাল পাবেন ৪৫-৮০ টাকা প্রতি কেজি। পোলাওয়ের চাল ৯০-১২৭ টাকা প্রতি কেজি। ডালের মধ্যে প্রতি কেজি মসুর ডাল ৫৫-১০০ টাকা, খেসারি ৫০-৬০ টাকা, মুগডাল ৯০-১৩০ টাকা, বুটের ডাল ৯৩-৯৫ টাকা, মাষকলাই ১০০ টাকা। বেসন পাবেন ৭০-১১০ টাকায় প্রতি কেজি। চিনি ৫৮-৬৫ টাকা, আখের গুড় ৮০ টাকা, আখের গুড় (তরল) ৮০-১২০ টাকা এবং খেজুর গুড় পাবেন ১২০ টাকা প্রতি কেজি।

সবজির বাজারে শসা প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা। আলু কিনুন প্রতি ৫ কেজি হিসেবে এক পাল্লায়, এতে সাশ্রয় হবে অনেক। সে ক্ষেত্রে প্রতি ৫ কেজি আলু (ডায়মন্ড) পাবেন ৮০-১০০ টাকায়, প্রতি ৫ কেজি লাল আলু ৯০-১২৫ টাকায়। পেঁয়াজ (বিদেশি) ৪০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৫০ টাকা, রসুন (বিদেশি) ১০০ টাকা, রসুন (দেশি) ১২০ টাকা প্রতি কেজি। ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ৫২০-৫৫০ টাকা আর খোলা ৮৮-৯০ টাকা প্রতি লিটার। ৫ লিটারের ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি ভোজ্যতেল পাবেন ৫৬০-৬১০ টাকা। অপর দিকে প্রতি লিটার সূর্যমুখী তেল মিলবে ১১০-১৮০ টাকায়, সরিষার তেল ১৮০-২০০ টাকা, পাম তেল পাবেন ৭২-৭৫ টাকায়। লবণ ২৫-৩৮ টাকা, বিট লবণ ৮০ টাকা প্রতি কেজি।

মসলাপাতির সম্ভারে কেজি প্রতি মরিচ গুঁড়া ১৮০ টাকা, হলুদ গুঁড়া ১৬০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৬০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, জিরা ৩৮০ টাকা, ধনে গুঁড়া ১৬০ টাকা, গোলমরিচ ৮০০-৯৫০ টাকা, এলাচি ১২০০-১৭০০ টাকা, লবঙ্গ ১২০০-১৪৫০ টাকা ও দারুচিনি ২৮০-২৯০ টাকা, তেজপাতা ১৫০ টাকা ও জায়ফল ১ হাজার টাকা।

মাসকাবারি বাজার সম্পর্কে রাজধানীর সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া বলেন, ‘রমজান মাসে আমাদের খাবারের রুটিনটা পাল্টে যায় ইফতার, রাতের খাবার আর সাহ্‌রি। পরিবারের সবার রুচি ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে লক্ষ্য থাকে প্রতি বেলার খাবারেই যেন বৈচিত্র্য আসে। সেই কারণেই আনুষঙ্গিক দ্রব্যের জোগাড়যন্ত্রও করতে হয়। শুরুতেই মাসকাবারি বাজার করে রাখলে অনেকটাই সহায়ক হবে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, ছোলা ইত্যাদি পণ্যের কথাই আমরা প্রথমে ভাবি। এর বাইরে পচনশীল দ্রব্য যেমন শাকসবজি কিংবা ফলমূল অল্প পরিমাণে কিনে সপ্তাহের জন্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।’ শুধু তা-ই নয়, কোনো জিনিস ঠিক কী পরিমাণে কিনবেন, তারও গড়পড়তা তালিকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন রীনাত ফওজিয়া। এখানে বলে রাখা ভালো, পরিবারের সদস্যসংখ্যা ও চাহিদার ওপর খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।

 রমজান মাসে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আসে। সেই অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারে যে পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য লাগতে পারে তার একটা ধারণা নিচে দেওয়া হলো।

চাল                   ১২-১৫ কেজি

মসুর ডাল           ৫ কেজি

মুগডাল              ২ কেজি

তেল                  ১০-১২ লিটার

আলু                  ১০ কেজি

ছোলা                ৩-৫ কেজি

পেঁয়াজ               ১৫ কেজি

রসুন                  ১ কেজি

আদা                 ২ কেজি

চিনি                  ৮-১০ কেজি

বেসন                ৩ কেজি

ঘি                     ৫০০ মিলিলিটার

এ ছাড়া আগে থেকে কিনে রাখতে পারেন মাছ-মাংস। প্রয়োজন অনুসারে নিতে পারেন আটা, ময়দা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়। মসলার মধ্যে লাগবে মরিচ, হলুদ, ধনে গুঁড়া, জিরা, তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ ইত্যাদি।