Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশু যখন হঠাৎ স্কুলবিমুখ

হঠাৎ করেই স্কুলবিমুখ হয়ে পড়েছে শিশু। স্কুলে যাওয়ার সময় হলে কাঁদতে শুরু করছে। পেটব্যথা বা নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। প্রশ্ন করলে ভয় পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনার শিশুটি হয়তো স্কুলে বুলিংয়ের শিকার।
বুলিং কী: স্কুলে শিশুরা প্রায়ই অন্য শিশুকে অপদস্থ করে, ব্যঙ্গাত্মক নামে ডাকে, উপহাসও করে। একই শ্রেণীর বা অন্য শ্রেণীর শক্তিশালী শিশুরা দলবদ্ধভাবে দুর্বল বা অন্য কাউকে উত্ত্যক্ত করে, ভয়ভীতি দেখায়। এ ব্যাপারটি ‘বুলিং’ নামে পরিচিত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বা ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী, দুর্বল দৈহিক গঠন, অন্তর্মুখী স্বভাবের শিশুরা এর শিকার বেশি হয়। আর যারা এটি করে, তারাও সুস্থ নয়।
ক্ষতিকর দিক: এই শিশুরা হীনম্মন্যতায় ভোগে, হতাশা বোধ করে, বিষণ্নতা ও অনান্য শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। তাদের আত্মবিশ্বাস কমে, স্কুলভীতি তৈরি হয়। এতে ফলাফল খারাপ হয়ে একসময় পড়াশোনা বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এদের আত্মহত্যার ঝুঁকি ও মানসিক নানা সমস্যা বড় হওয়ার পরও থেকে যেতে পারে। বুলিং প্রতিরোধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।