Thank you for trying Sticky AMP!!

শুরু থেকেই ডায়েট

প্রতিবেলা পরিমিত পরিমাণে খান। মডেল: অর্পিতা। ছবি: অধুনা

শুরু হয়েছে নতুন একটি বছর। নতুন বছরে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে নিতে পারেন খাবারের তালিকা। সারা বছর মেনে চলবেন এমন ডায়েট করতে হবে। সেখানে সকালের নাশতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিতে হবে। ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাশতা খেতে হবে। দিনের প্রথম খাবারে রাখতে হবে সবচেয়ে ভালো খাবারগুলো। সম্ভব হলে এ বেলায় পুষ্টিসমৃদ্ধ ভারী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, আপনাকে সারা দিনের পূর্ণতা দেবে সকালের নাশতা। সকালের ভালো নাশতা সারা দিনের ভালো কাজের জন্য মনকে রাখে প্রফুল্ল। আটার রুটি সকালের নাশতার জন্য বেশ ভালো একটি খাবার। বিশেষ করে, যাঁরা ভারী খাবার পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য। সকালে পাউরুটি বা ভাত খাওয়ার চাইতে আটার রুটি, সবজি ভাজি বা ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। রুটি শক্তি সরবরাহ করে, যা পুরো দিনই রাখবে সতেজ। সকালবেলা ডিম ভাজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো। সকালের নাশতায় এই উপাদানগুলো হলে সারা দিন ভালো কাটতে পারে।

ভালো মানের সবজি রাখতে হবে সকালের নাশতার টেবিলে। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এসব সবজির সঙ্গে খেতে পারেন ফলমূলের সালাদ। সকালের নাশতায় ফল খান এবং সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সকালে একেবারে কম খেয়ে সারা দিন যা খুশি তা-ই খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। সকালে নাশতার পর এক কাপ চা বা কফি পান করতে পারেন। সকালের নাশতায় কখনো চকলেট, প্যানকেক, বার্গারের মতো উচ্চ ক্যালরির খাবার খাওয়া উচিত নয়। উচ্চ ক্যালরির খাবারের পরিবর্তে শসা, ফল, বাদাম প্রভৃতি খেতে পারেন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কিছু খাওয়া উচিত। এ সময়ে মৌসুমি ফল খেতে পারেন। এ সময় ভারী খাবার না খাওয়াই উচিত।

দুপুরের খাবার সময়মতো খেতে হবে। সবজির পরিমাণ বেশি রাখতে হবে। সকালের খাবারের তুলনায় এ বেলায় পরিমাণে কম খেতে হবে। দুপুরবেলার খাবারে চার ভাগের এক ভাগ শর্করা, সমপরিমাণ আমিষ এবং খাবারের অর্ধেক পরিমাণ সবজি রাখতে হবে।

বিকেলবেলার নাশতায় ভাজাপোড়া না রাখাই উচিত। তেলে ভাজা উপকরণ খেলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বিকেলের নাশতায় ব্রাউন ব্রেড দিয়ে তৈরি খাবার খেলে সবচেয়ে উপকার হবে। এর সঙ্গে খেতে পারেন বিভিন্ন দেশীয় ফলের রস।

রাতে সবচেয়ে হালকা খাবার খেতে হবে। দিনের শেষ বেলার খাবারে স্যুপ রাখুন। দই বা টক দইও খেতে পারেন। দই শরীরের জন্য বেশি কার্যকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের গঠনে কাজ করে।

সারা দিন খাবারের তালিকায় তেল আছে, এমন খাবারগুলো কম খাওয়া উচিত। অনেক খাবার অতিরিক্ত লবণ দিয়ে তৈরি করে। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার না খাওয়া ভালো। প্রচুর পরিমাণ পানি বা তরলজাতীয় খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে। সবুজ রঙের ফলের পাশাপাশি অন্য রঙের ফল খাওয়া উচিত।

নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন প্রতিবেলার খাবার খাওয়া উচিত। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করা উচিত। এটি খাবার হজম হতে সাহায্য করবে। কোনো উৎসব বা বিশেষ আয়োজনে একটু বেশি পরিমাণ খাবার খেলে ব্যায়ামের সময়ও একটু বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। এর ফলে হজম ভালো হবে।