Thank you for trying Sticky AMP!!

শোক বহিবারে দাও শক্তি

১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিমানটি। ছবি: রয়টার্স

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে খেয়েদেয়ে বিশ্রাম নিতে না নিতেই পারিবারিক আদালতে আমার বিচার শুরু হলো। প্রায় প্রতিদিনই এমনতর বিচারের মুখোমুখি হই। কখনো ছেলেমেয়েরা থাকে আমার বিচারক, আবার কখনো ওদের মা। ১২ মার্চ ২০১৮ তারিখটিতে এই বিচার চলাকালে আমার ভাতিজা প্রতীকের ফোন। ‘চাচ্চু, দেখছ নাকি কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা প্লেন ক্র্যাশ করেছে।’ বিচারকর্ম পরিত্যক্ত হলো। টিভি খুলে স্ক্রল দেখতে লাগলাম। মুঠোফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারলাম এই দুর্ঘটনার খবর। আশা ছিল আসলে তেমন কিছুই হয়নি, রানওয়ে থেকে বিমান একটু ছিটকে পড়েছে। হয়তো যাত্রীরা ভালোই আছেন। এমন সময় আমার পুত্র পাইলটের সঙ্গে এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল টাওয়ারের কথোপকথন জোগাড় করে শোনাতে থাকল। ছবিতে বিধ্বস্ত দুই টুকরো হওয়া বিমানের ছবিটি দেখে মাথাটা ঘুরে উঠল। বুঝলাম, ক্যাজুয়ালটি অনেক। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আরও তথ্যের জন্য ফেসবুক স্ক্রল করতে লাগলাম। হঠাৎ বন্ধু সুমন জাহিদের একটি পোস্ট দেখে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। সে লিখেছে, আমাদের বন্ধু রফিক জামান রিমু, ওর স্ত্রী বিপাশা আর সন্তান অনিরুদ্ধ ওই বিমানে ছিল! হায়, চোখের সামনে রিমুর বিশ্লেষণধর্মী কথোপকথন, তর্কাতর্কি আর চেহারাটা ভেসে উঠল। আমি একজন পেশাদার সাইকিয়াট্রিস্ট। রোগীকে আবেগ নিয়ন্ত্রণের উপদেশ দিই, গ্রিফ ম্যানেজমেন্টের সব কৌশল আমার নখদর্পণে, সরকারি–বেসরকারি সংস্থায় ‘দুর্যোগ–পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’ নিয়ে লম্বা লম্বা লেকচার দিয়ে বেড়াই, চিকিৎসক-কাউন্সেলরদের প্রশিক্ষণ দিই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘দুর্যোগ–পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’–বিষয়ক প্রকাশনায় আমার নাম যুক্ত থাকায় গর্ববোধ করি; কিন্তু বন্ধু সুমন জাহিদের পোস্ট দেখে আমার নিজের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। ঢোক গিলতে পারছিলাম না, সমানে বাসার মধ্যে পায়চারি শুরু করলাম। সুমন জাহিদকে ফোন দিলাম, নম্বরটি ব্যস্ত আছে বলে জানাল। রিমু কাজ করত প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে। ওর সঙ্গে আমার কাজের ক্ষেত্রের কিছুটা মিল থাকায় পেশাগত সভা–সেমিনারেও আমাদের দেখা হতো। তর্কটা সে ভালোই করত। ওর সঙ্গে কিছুদিন আগে আমার শেষ কথোপকথনটা মনে পড়ল। আমার এক আত্মীয়ের জন্য একটি এনজিওতে চাকরির বিষয়ে ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম।
আমি আর বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারলাম না। পা দুটো যেন অবশ হয়ে আসছে। বসলাম। হাতে মুঠোফোন, সমানে স্ক্রল করে যাচ্ছি। বুঝতে পারছি ভালো কোনো সংবাদ নেই। 

একজন পেশাদার সাইকিয়াট্রিস্ট হওয়ার পরও আমি আমার মনের ঝড়কে থামাতে পারছিলাম না। উপলব্ধি হলো, আমাদের যত লেকচার, ট্রেনিং, ট্রমা কাউন্সেলিং—একজন শোকগ্রস্ত মানুষের ওপর কাজ করতে পারছে না। কিন্তু এটি তো বিজ্ঞান। তাই আমি স্থির হয়ে বসে নিজেকে শান্ত করতে চাইলাম। নিজেকে স্বাভাবিক হতে হবে। শোককে মেনে নিতে হবে। নানা ধরনের খবর আসছে। কোথাও দেখলাম রিমু বিমানের ভেতর আটকে আছে, কোথাও দেখলাম ওর কোনো খোঁজ নেই, আরেকজন আশার আলো দেখাল—রিমু হাসপাতালে আহত হয়ে আছে। ক্রমে সন্ধ্যা হলো। প্রবাসী বন্ধু লিটন কাঠমান্ডু দূতাবাসের সূত্রে জানাল, সব শেষ। রিমু সপরিবারে নিহত।
আমি হয়তো আমার বন্ধুর জন্য বিচলিত। কিন্তু চিন্তা করতে থাকলাম ৫০ জনের পরিবার আর তাঁদের স্বজনদের মনের অবস্থা। এর মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ফোন। কাঠমান্ডুর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত–আহত ব্যক্তিদের স্বজনদের প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। সেখানে আমার হাসপাতালের এই বিষয়ে প্রশিক্ষিত জামাল হোসেনকে সংযুক্ত করে দিলাম। বিচলিত অবস্থাতেই পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। একবার মনে হলো সব মিথ্যা, কোনো দুর্ঘটনাই ঘটেনি। তারপর মনে হলো আরে এটা ‘গ্রিফ’ রি–অ্যাকশনের প্রথম ধাপ, শোককে অস্বীকার করা। মনে হলো এই ট্রমা কাউন্সেলিং, মনোসামাজিক সহায়তার বড় বড় বুলি নিছক মেকি। কী হয় এতে? সব ফালতু। পরক্ষণেই যৌক্তিক মন বলে উঠল—না, এটা বিজ্ঞান, বিজ্ঞান মিথ্যা নয়।

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনার িশকার যাত্রীদের এবং দুর্ঘটনাস্থলের ছবিগুলো ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। এখন সবই স্মৃতি

বড় বড় দুর্যোগের পর শোকাতুর ও বিহ্বল মানুষ সান্ত্বনা চায় না। তারা চায় শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি। তাই শোকগ্রস্ত ব্যক্তিদের প্রতি সিমপ্যাথেটিক না হয়ে এমপ্যাথেটিক হতে হয়। আচমকা ঘটে যাওয়া দুর্যোগ-দুর্ঘটনার তীব্র মানসিক চাপ, সেটির বীভৎসতা এবং আগামী দিনের অনিশ্চয়তার কারণে দুর্ঘটনা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেশির ভাগের মধ্যে ঘটে যায় মানসিক বিপর্যয়। জরুরি বিষয়টি হচ্ছে যে যাঁরা কেবল সরাসরি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত তাঁরাই নন, বরং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের মানুষের মধ্যে কমবেশি মানসিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। গবেষকেরা দুর্যোগ–দুর্ঘটনার পর উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পাঁচটি ধাপে ভাগ করেছেন। প্রথম ধাপে রয়েছেন যাঁরা সরাসরি বিপদের মধ্যে পড়েছিলেন এবং পরে সুস্থ অবস্থায় বা আহত অবস্থায় বেঁচে গেছেন। দ্বিতীয় ধাপে আছেন দুর্যোগে নিহত বা আহত উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিকটজনেরা। যাঁরা দুর্যোগ–দুর্ঘটনার পর সরাসরি উদ্ধারকর্মে নিয়োজিত থাকেন—যেমন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক, তাঁরাও কিন্তু তৃতীয় ধাপের উদ্ধারপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচিত। চতুর্থ ধাপে রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসক, চিকিৎসক, প্যারামেডিকস, সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যাঁরা উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নানা রকম সেবায় নিয়োজিত ও দুর্যোগ–সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিষেবা দিয়ে থাকেন। একেবারে শেষের বা পঞ্চম ধাপে আছেন যাঁরা মোটামুটি নিরাপদ দূরত্বে থেকে দুর্ঘটনাটি দেখেছেন বা টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে সেটির চিত্র ও সংবাদ পাঠ করেছেন। অর্থাৎ দুর্ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট যে কেউ মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন। কাঠমান্ডু বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রিমুর বন্ধু হিসেবে আমি দ্বিতীয় ধাপে, সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে চতুর্থ ধাপে আর বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি পঞ্চম ধাপে! যাঁদের নিকটতম স্বজনেরা ওই বিমানে ছিলেন, তাঁদের মনের অবস্থা আর অস্থিরতা আমি খানিকটা বুঝতে চাইলাম। একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে তাঁদের সাহায্য করাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হলো। জামাল হোসেনকে এ বিষয়ে করণীয় বলে দিলাম। আর নিজেকে দায়িত্ববান মানুষ মনে করে ফেসবুকে মনগড়া তথ্য আর মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকলাম।
অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ও বিপদ ঘটে যাওয়ার মুহূর্তের পর থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দিতে পারে তীব্র মানসিক চাপ (অ্যাকিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার), কনভার্সন ডিসঅর্ডার (হিস্টিরিয়া), সাময়িক উন্মাদনা (ব্রিফ সাইকোসিস), আতঙ্ক (প্যানিক ডিসঅর্ডার), দুঃশ্চিন্তা, অস্বাভাবিক শোক, আচরণ ও কথা বলা ইত্যাদি। দুই সপ্তাহ পর থেকে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেখা যায় আঘাত–পরবর্তী মানসিক চাপ (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার), বিষণ্নতা, অপরাধবোধে ভোগা ইত্যাদি। যাঁদের মধ্যে আগে থেকেই মানসিক সমস্যা বা মাদকাসক্তির ইতিহাস ছিল, তাঁদের সেই সমস্যাগুলো তীব্রতর হয়ে ওঠে। শিশু, বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক বিপর্যয় বেশি দেখা যায়। 

এই মানসিক বিপর্যয়ের সময় যথাযথ মনোসামাজিক সহায়তা ও সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড না পেলে পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পশ্চিমা ভিন্ন দেশের গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় আশি শতাংশ দুর্যোগ–সংশ্লিষ্ট মানুষের মধ্যে মানসিক বিপর্যয় দেখা দেয় এবং সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে এর এক বিরাট অংশ মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। মনোসামাজিক সহায়তার উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্যোগ-দুর্ঘটনার ধকল কাটিয়ে উঠে শোক–হতাশা ও অনিশ্চয়তাকে অতিক্রম করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা। দুর্যোগ–দুর্ঘটনাই জীবনের সবকিছু নয়, বরং এর বিপরীতে যে অসীম সম্ভাবনাময় জীবন রয়েছে, সেটিই উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বুঝিয়ে দেওয়া। এই সহায়তার মাধ্যমে আচমকা বিপদ–পরবর্তী মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

আচমকা বিপদে কী করবেন
করুণা নয়
আচমকা বিপদ বা দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি করুণা প্রকাশ না করে তাঁদের সাহসের সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সচেষ্ট হোন। সমবেদনার বদলে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে শিখতে হবে।

অযথা উপদেশ নয়
অযাচিত ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অযথা উপদেশবর্ষণ করবেন না। আপনি যদি এই গ্রিফ রি–অ্যাকশন বিষয়ে বা ট্রমা কাউন্সেলিং বিষয়ে দক্ষÿনা হন, তবে আপনার অযাচিত উপদেশ আক্রান্ত ব্যক্তির দুঃখবোধকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

শোককে উপেক্ষা নয়
শোক একটি গুরুত্বপূর্ণ আবেগ। শোককে উপেক্ষা করবেন না। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা নয়, শোক প্রকাশ করুন।

আবেগ প্রকাশের সুযোগ দিন
দুর্ঘটনায় যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যিনি স্বজন হারিয়েছেন, তাঁর আবেগগুলো প্রকাশের সুযোগ দিন। আবেগকে চাপা দেবেন না।

নিজেকে প্রশ্ন করুন
আপনার শোক কতটুকু যৌক্তিক, আপনি কী হারিয়েছেন তা নিজেকে প্রশ্ন করে করে বের করুন। তাতে আপনার অযৌক্তিক শোক থাকলে তা কমে আসবে।

মনের ওপর জোর নয়
যদি মনে করেন, আপনি স্বাভাবিক কাজ করার মতো মনটিকে তৈরি করতে পারেননি, শোককে কাটিয়ে উঠতে পারেননি, তবে সময় নিন। জোর করে নিজেকে স্বাভাবিক দেখাবেন না।

কাঁদুন যদি মন চায়
যদি মন চায় আপনি কাঁদুন। কান্না আমাদের আবেগকে প্রকাশিত করে, শোককে প্রশমিত করে। আপনি পুরুষ হন বা নারী, তাতে কিছুই যায়–আসে না। মনে রাখবেন, শোকের স্বাভাবিক প্রকাশ কান্না। তবে যদি কান্না না আসে, জোর করে কান্নার চেষ্টা করবেন না।

নিজের পরিবারকে সময় দিন
শোকাতুর অবস্থায় একা থাকবেন না। নিজের পরিবার ও কাছের মানুষের সান্নিধ্যে থাকুন।

অযথা অস্থিরতা নয়
আচমকা বিপদে অযথা অস্থির হয়ে ছোটাছুটি না করে প্রকৃত সংবাদ জানার চেষ্টা করুন।

গুজব নয়
প্রকৃত সত্য না জেনে মনগড়া তথ্য দিয়ে অন্যদের বিভ্রান্ত করবেন না। নিজে যাচাই না করে গুজবে কান দেবেন না।

নিজেকে ভুলবেন না
বিপদের পর নিজের মন ও শরীরকে অবহেলা করবেন না। খাওয়ার চেষ্টা করুন, ঘুমানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি আপনার সামাজিক দায়িত্ব আছে, এটাও ভুলবেন না।

মেনে নিন
আপনি যা পরিবর্তন করতে পারবেন না, তা মেনে নিন। নতুন শক্তি সঞ্চয় করে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে তৈরি করুন।

বিমান দুর্ঘটনায় আলোকচিত্রী বন্ধু িপ্রয়ক নিহত। কয়েকদিন আগে প্রিয়কের বন্ধু প্রতীকের সঙ্গে ফেসবুকে কথোপকথন

কী কী করবেন

• সক্রিয় ও আন্তরিকভাবে দুর্যোগ-পীড়িত মানুষের সান্নিধ্যে আসবেন।
• তাঁদের কথা মন দিয়ে শুনবেন।
• সহানুভূতির পরিবর্তে তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করবেন।
• তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাবেন।
• দুর্যোগ–সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের প্রতি
• সম্মান দেখাবেন এবং সেটা গ্রহণ করবেন।
• গোপনীয়তার প্রয়োজন সম্পর্কে সজাগ থাকবেন।
• অব্যাহত সেবা প্রদান নিশ্চিত করবেন।

কী করবেন না

• আক্রান্ত মানুষকে কোনো ধরনের সাহায্য, সহযোগিতা গ্রহণ করতে বাধ্য করবেন না।
• তাঁদের উপদেশ দেবনে না। এটা করো, সেটা করো বলে বিরক্ত করবেন না।
• স্বজনেরা যখন দুঃখ–দুর্দশার অনুভূতি প্রকাশ করেন, তখন তাঁদের বাধা দেবেন না।
• তাঁদের প্রতি করুণার মনোভাব প্রকাশ করবেন না।
• তাঁদের কোনো আচরণের প্রতি নিজস্ব অভিমত পোষণ করবেন না।
• কোনো ধরনের গুজবে উৎসাহিত করবেন না।