Thank you for trying Sticky AMP!!

স্থাপত্যের সৈনিক

চেন্নাইয়ের এনএএসএ সফরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

দক্ষিণ এশিয়ায় স্থাপত্যের অন্যতম বৃহৎ সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত হয় ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্টুডেন্টস অব আর্কিটেকচার (এনএএসএ)। ভারতের চেন্নাইয়ের মার্গ ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন অ্যান্ড আর্কিটেকচার স্বর্ণভূমিতে (মিডাস) গত ২৫-২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো ৫৭তম ‘এনএএসএ কনভেনশন’। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ১৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ছিল এবারের সম্মেলনে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দলের হয়ে আমাদের সুযোগ হয়েছিল এনএএসএ কনভেনশনে অংশ নেওয়ার। দলে ছিলাম মুনতাসির, নিশাত, জিসান, উনাইজা, নাজেম, রিফাত, নুরান, তন্ময় ও আমি।
এনএএসএ কনভেনশনে ছিল স্থাপত্যের ওপর কনফারেন্স, প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কনফারেন্সে বিশ্বের নামকরা স্থপতিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার কথা বলেছেন। আমাদের সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল স্থপতি অরোভিল, স্নেহাল শাহ, ক্রিস্টোফার বেনিঞ্জার, পিটার কুক, রফিক আজম প্রমুখের।
প্রতিবছরই ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বছরের শুরুতে—জানুয়ারিতে এই সম্মেলন করে থাকে। চার দিন ধরে চলা এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো, দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ হবু স্থপতিদের এক মঞ্চে নিয়ে এসে তাঁদের একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তাই তো কে কোন দেশের, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের—সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবার মনে যেন একটাই সুর: সবাই আমরা স্থাপত্যের।
এই সম্মেলনে আমাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেগেছে নিজের দেশের, নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন নিয়ে একটি ইভেন্ট। ব্যতিক্রমধর্মী এই ইভেন্টে শত শত পতাকার ভিড়ে আমাদের তুলে ধরা বাংলাদেশের একটি পতাকা ওড়ানোর দৃশ্য বোধ হয় কোনো দিনই ভোলার নয়।
চার দিন ধরে চলা অনুষ্ঠানে বেশ কিছু কর্মশালায় আমরা অংশ নিয়েছি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো বাঁশ ও বাঁশজাত দ্রব্যাদির বহুমুখী ব্যবহার, আলোকচিত্র কর্মশালা, পেইন্টিং কর্মশালা প্রভৃতি। পরিশোধনযোগ্য ধাতু ও ধাতব দ্রব্যাদি নিয়ে ছিল একটি প্রতিযোগিতার আঙ্গিকে কয়েকটি দলের মধ্যে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল যে ধাতব দ্রব্যাদিগুলো ঝালাই করে কত সুন্দর শিল্পে পরিণত করা যায়। বন্ধু নাজেমের নেতৃত্বে আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করি।