হায় রে পরীক্ষা
২০০৮ সাল। খুলনার একটি কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ি। প্রথম পরীক্ষার ফলাফল দিল। বোর্ডে ফল দেখে আমি হাঁ করে তাকিয়ে রইলাম। আমার রোল নেই সেখানে। নাম নেই কেন? পরে জানতে পারলাম, বাংলায় পেয়েছি মাত্র ১২। অন্তত ১২ পাওয়ার মতো খারাপ পরীক্ষা তো দিইনি। বাংলা ম্যাডামের কাছে গেলাম সাহস নিয়ে। উনি বললেন, ‘হুম…১২ পাওয়ার মতো লিখলে তো ১২-ই পাবা, আবার এসেছ খাতা দেখতে।’ শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। তারপরও ম্যাডামকে খুব অনুরোধ করলাম খাতাটা দেখানোর জন্য। ম্যাডামও নাছোড়বান্দা, ‘কোনো খাতা দেখাদেখি হবে না, যা পেয়েছ আমি তা-ই জমা দিয়েছি।’ কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা।
আমার প্যানপ্যানানি শুনে অন্য শিক্ষকেরা বললেন একবার খাতাটা দেখাতে। কেরানি কাকু খাতার বান্ডিল নিয়ে এলেন। আমি তো ভয়ে দোয়া-দরুদ পড়ছিলাম। আমার রোল ছিল ৫১২। বের করা হলো ৫১২-এর খাতা। ৫০ নম্বরের পরীক্ষা ছিল। খাতায় দেখা গেল, আমি বেশ ভালো একটা নম্বর পেয়েছি।
পরে জানা গেল, খাতায় নম্বর ওঠানোর সময় কোনো একটা বড় ভুল হয়েছিল। ভুল সবারই হয়।
সুমনা হোসেন
বনশ্রী, ঢাকা।
আরও পড়ুন
-
উপজেলা নির্বাচনে উত্তরাধিকার বসাতে মরিয়া মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা
-
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: যে অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
-
‘অদক্ষ’ সিডিএর কাঁধে ২৪০০ কোটি টাকার ঋণের বোঝা
-
গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: ২১ ঘণ্টায়ও উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি, তদন্ত কমিটি
-
আফ্রিকার গহিন বনে শিম্পাঞ্জিদের পিছু পিছু মাসের অর্ধেকটা কাটে এই বাংলাদেশির