Thank you for trying Sticky AMP!!

হুমকির মুখে গাড়িচালক সম্প্রদায়

প্রচ্ছদ: তুলি

তরমুজের বাম্পার ফলন গ্রীষ্মকালেই হয়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে যে গুম-হত্যারও ‘বাম্পার ফলন’ হবে, তা বোধ হয় কারোরই জানা ছিল না। জানবেই বা কীভাবে? কালবৈশাখী যেমন কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আঘাত হানে, গুমের ঘটনাগুলো ঠিক সেভাবে একেবারে ঘোষণা ছাড়াই আঘাত হেনেছে। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে বিশ্বের কোথাও এত গুম-অপহরণ আর হত্যার ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটা নিয়ে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হতে পারে।
পারিবারিক, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কারণে গুম কিংবা খুন হয়েছেন অনেকে। তবে শুধু যে ব্যবসায়ী কিংবা রাজনীতিকদেরই অপহরণ করা হয়েছে, তা নয়। একই সঙ্গে অপহরণ বা গুম করা হয়েছে তাঁদের গাড়িচালকদেরও। অথচ এই গাড়িচালকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক শত্রুতা, ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকার কথা নয়। শুধু ‘শত্রু’র গাড়িচালক হওয়ার কারণেই গুম কিংবা খুনের শিকার হচ্ছেন এই দুর্ভাগা গাড়িচালকেরা, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে গাড়িচালক পেশায় শূন্যতা দেখা দিতে পারে। গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত গাড়ির মালিকই যাবতীয় খোঁজখবর নেন। সম্ভাব্য চালকের ব্যবহার, স্থায়ী কিংবা বর্তমান ঠিকানা, চালকের প্রিয় খেলোয়াড় মেসি না রোনালদো ইত্যাদি। কিন্তু একের পর এক গুমের ঘটনায় যদি গাড়িচালকেরা এভাবে আক্রান্ত হতে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো গাড়িচালকেরাই গাড়ির মালিক সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন। মালিক রাজনীতিক নাকি ব্যবসায়ী—এর ওপর নির্ভর করবে চাকরি গ্রহণ বা বর্জনের সিদ্ধান্ত। তাই অবিলম্বে এ বিষয়টির সুরাহা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের।