Thank you for trying Sticky AMP!!

'৪০ ধরনের মিষ্টান্ন ও কেক বানাচ্ছি'

প্রমী তাবাসসুম। ছবি: সংগৃহীত

ছোট থেকে রান্নার প্রতি একধরনের ভালোবাসা ছিল উদ্যোক্তা প্রমী তাবাসসুমের। তবে রান্না যে পেশাও হতে পারে, তা বুঝতে পারেন অনেক পরে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে রয়েছে ‘স্প্রিনকেলস অন টপ বাই প্রমী তাবাসসুম’ নামের তাঁর ডেজার্ট (মিষ্টান্ন) নিয়ে ব্যবসায়িক পেজ।

অনলাইনের মাধ্যমে মিষ্টান্ন বিক্রির এই যাত্রা শুরু হয় গত বছরের মাঝামাঝি। দেশীয় কিছু মিষ্টান্নের পাশাপাশি আমেরিকান, ইতালিয়ান ও অ্যারাবিয়ান ডেজার্ট তাঁর বিশেষত্ব। এ ছাড়া বিভিন্ন রকম কেক তৈরিতেও বেশ দক্ষ তিনি।

প্রমী তাবাসসুম বলেন, ‘যখন শুরু করি, তখন কেউই আমার পেজ সম্পর্কে জানতেন না। পরিবার আর বন্ধুদের দেওয়া ডেজার্ট আর কেকের ফরমাশের মাধ্যমেই যাত্রা শুরু করি। এখন সব মিলিয়ে ৪০ ধরনের মিষ্টান্ন ও কেক তৈরি করছি। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও স্বাদে কোনো আপস করি না।’

 করোনাভাইরাসের বিস্তারের মধ্যেও মিষ্টান্ন বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ হাজারের বেশি টাকা লাভ করছেন আর সেই অর্থ দিয়েই খাবার রান্না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানালেন প্রমী তাবাসসুম।

প্রমী তাবাসসুম মার্কেটিংয়ে বিবিএ ও এমবিএ করেছেন। চাকরি করার পর বাবা ও স্বামীর উৎসাহেই অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা করার উদ্যোগ গ্রহণের সাহস পান তিনি। রান্না শিখতে টনি খান কালিনারী ইনস্টিটিউট থেকে করেছেন এক বছরের ডিপ্লোমা। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছেন সম্মানজনক সনদও।

 প্রমী তাবাসসুম নিজের দক্ষতাকে বাড়াতে রান্না বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান লে কর্ডন ব্লু প্রতিষ্ঠানে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রান্নাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিজের ডেজার্ট রেস্টুরেন্ট খোলারও স্বপ্ন দেখেন তিনি।