Thank you for trying Sticky AMP!!

কনুই ও হাঁটুর ত্বকের যত্ন

কনুইয়ে ঘরোয়া প্যাক মালিশ করলে চলে যাবে কালো দাগ। মডেল: নিধি, ছবি: নকশা

কালচে দাগ চায় না কেউ সুন্দর কোমল ত্বকে। না চাইলেও তো অনেক কিছুই হয়। এই যেমন হাঁটু বা কনুইয়ের ত্বকে কালচে দাগ। না চাইলেও অনেকের এই অংশগুলোতে দাগ হতে দেখা যায়। অনিন্দ্যসুন্দর কেউও ভুগতে পারেন এমন দাগের সমস্যায়। কেন হয় এমন? আর কেমন যত্ন নিলে মুক্তি মিলবে এই দাগ থেকে?

বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি জানালেন, হাঁটু ও কনুইয়ের দাগের পেছনে অনেক কারণই থাকে। স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের এ অংশ একটু পুরু ও খসখসে হয়। এসব অংশে সহজেই ময়লা জমতে পারে। মুখ বা ত্বকের অন্যান্য অংশের চেয়ে একটু কমই যত্ন নেওয়া হয় হাঁটু ও কনুইয়ের। তাই দীর্ঘদিনের অযত্নে ছোপ ছোপ বা কালচে দাগ হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকেও এমন দাগ হতে পারে। আবার ত্বকের অন্যান্য অংশ কোমল হলেও জিনগত কারণে অনেকের ত্বকের এ অংশ শুষ্ক থাকে। হরমোনের কারণেও এমন দাগ হতে পারে। অপরিচ্ছন্নতাও ছোপ ছোপ দাগের একটি কারণ।

কী উপায়?
এমন দাগ থাকলে কী করার পরামর্শ দিলেন শারমিন কচি

*  প্রতিদিন ত্বকের এই অংশে তেল মালিশ করুন। তবে তেলের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে এরপর মালিশ করলে বেশি উপকার পাবেন। জমে থাকা ময়লাটাও উঠে যাবে। নারকেল তেল, জলপাই তেল বা যেকোনো তেল বেছে নিতে পারেন। তবে নারকেল তেলই বেশি ভালো। দিনের সুবিধামতো একটি সময় বেছে নিয়ে প্রতিদিনই এভাবে তেল ম্যাসাজ করুন।

*  ত্বকের মৃত কোষ তুলতে চিনি ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে জলপাই তেল বা মধু মিশিয়ে চক্রাকারে মালিশ করুন। তবে সেটা ৫-১০ মিনিটের বেশি নয়। এবার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গোসলের আগে মালিশ করলে ধুয়ে ফেলতে সুবিধা হবে। খুব বেশি কালচে দাগ থাকলে শুরুর দিকে প্রতিদিনই এভাবে স্ক্রাব করতে পারেন। দাগ একটু কমে এলে সপ্তাহে ২-৩ দিন করলেই চলবে।

আরও যা
আরও কিছু কাজ করা যেতে পারে এমন দাগ কমাতে।
* টক দই ত্বককে কোমল করে, দাগও দূর করে। হালকা ধরনের টক দইয়ের সঙ্গে ভিনেগার বা লেবুর রস যোগ করে চক্রাকারে ত্বকে মালিশ করতে হবে ১৫-২০ মিনিট।
* ২ চা–চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিল চামচ দুধের মিশ্রণ তৈরি করে মালিশ করতে পারেন। দুধের পরিবর্তে পানিও দিতে পারেন। বেকিং সোডা ব্যবহার করুন খুবই সাবধানে। মালিশ করার সময় একটু গরম অনুভব হয়। ২-৩ মিনিট মালিশ করে দেখুন সঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে কি না। এরপর প্রয়োজনে ৫ মিনিট পর্যন্ত মালিশ করা যাবে, তবে এর বেশি নয়। কখনোই সরাসরি বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। বেকিং সোডা ধুয়ে ফেলার পর অবশ্যই ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
* মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। ১০-২০ মিনিট রাখুন।
* দুধ ও হলুদের মিশ্রণও কাজে লাগাতে পারেন। এটিও ১০-২০ মিনিট রাখতে হবে।
* অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করা যায় ১০-২০ মিনিটের জন্য।