‘লাইফ ইজ নট পারফেক্ট বাট ইয়োর হেয়ার ক্যান বি’ কথাটা কে বলেছিলেন, জানা যায় না। কিন্তু বাঙালি নারীর ক্ষেত্রে কথাটা সর্বৈব সত্য। বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের বড় অংশজুড়েই আছে চুল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলা দরকার, লম্বা চুল। ঘন চুলও বটে। তবে আমরা আজ ঘন কালো চুল নিয়ে কথা বলব না। বলব লম্বা চুল নিয়ে।
সৌন্দর্যের বিষয় হিসেবে চুলের কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই বলে রাখা দরকার যে চুল শুধু লম্বা হলেই হয় না, তাকে সাজিয়ে রাখতে হয়, গুছিয়ে রাখতে হয়। বাঙালি নারী প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সে কাজ করে আসছে অনায়াসে। কিন্তু সময় বদলেছে। বদলেছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য। ফলে এখন আর লম্বা চুলে শুধু তেল মাখলেই হয় না। তাকে কখনো ঢেউ খেলাতে হয়, কখনোবা জিগজ্যাগ করতে হয়, আবার কখনো তাতে মনের মাধুরী মিশিয়ে রংও মাখতে হয়। যা–ই করুন না কেন, চুলের যত্ন নিতে হয়। যত্ন করে রাখা লম্বা চুলের সৌন্দর্য একেবারেই অভিজাত।
লম্বা খোলা কেশ। দেখতে লাগে বেশ। কোঁকড়া, সোজা, ঢেউখেলানো লম্বা চুলের আবেদন ছিল, আছে, থাকবে। লম্বা চুলে বেণি, খোঁপা, ঝুঁটি—পছন্দমতো যেকোনো স্টাইল করা সম্ভব। তবে এত কষ্ট করে বড় করা চুলগুলো মাঝেমধ্যে খোলা রাখার ইচ্ছা হতেই পারে। তবে সাদামাটাভাবে চুল খুলে রাখাটা অনেকের কাছেই একঘেয়ে মনে হতে পারে। তাঁরা দেখে নিন, কীভাবে নতুন নতুন রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন খোলা চুল।
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘সামনের অংশে চুল কেটে ছোট করতে পারেন। এতে করে লুক বদলে যাবে। চুল কিছুটা ফুলেও থাকবে। বেশি লম্বা হয়ে গেলে অনেকের চুল পড়তে থাকে, এটাও কমে যাবে। তবে সামনের দিকে চুল কাটলে সেট করে রাখা ভালো। পেছনের চুল খোলা রাখতে চাইলে ব্লো ড্রাই করে রাখা যায়। তাহলে গোছানো একটা ভাব আসবে।’ এ ছাড়া রাতের বেলা ঘুমানোর সময় এক আঙুল সমান চিকন করে অনেকগুলো বেণি করে রাখতে পারেন। পরের দিন সকালে চুল খুলে দিলে পুরো চুলেই কোঁকড়ানো ভাব চলে আসবে। এতে কোনো ড্রায়ারও ব্যবহার করতে হবে না। চুল যখন ব্লো ড্রাই করবেন, তখন বেশি গরম বাতাস ব্যবহার করবেন না। লম্বা চুলে যত্ন বেশি নিতে হয়। সপ্তাহে তিন দিন তেল গরম করে মাথায় হালকা ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত আঁচড়াতে হবে, চুলে যেন খুব বেশি জট লাগতে না পারে। ঘুমের সময় চুলগুলো বেঁধে রাখতে হবে।
কোঁকড়ানো স্টাইল
পুরো চুলই হটকার্ল ব্যবহার করে কোঁকড়া করা হয়েছে। তবে খুব লম্বা চুলে বেশিক্ষণ কোঁকড়ানো ভাবটা থাকে না। কিছুক্ষণ পরই সোজা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মুজ বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
সামনে কোঁকড়ানো, পেছনে সোজা
হটকার্ল ব্যবহার করে সামনের দিকে কিছু চুলে বড় আকারের কোঁকড়া করা হয়েছে। পেছনের চুলগুলো সোজাই আছে।
ওপরে সোজা, নিচে কোঁকড়া
ওপরের চুলগুলো ব্লো ড্রাই করা। নিচের অংশের চুলগুলো কার্লারের মোটা অংশটি ব্যবহার করে কোঁকড়া করা হয়েছে। সাধারণত চুলের যে পাশে সিঁথি করেন, সেটা নাহয় একটু বদলে নিলেন। চাইলে সামনের একটু চুল নিয়ে উল্টো করে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিতে পারেন। তৈরি হয়ে যাবে আরেকটি স্টাইল।
জিগজ্যাগ কোঁকড়া
ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত জিগজ্যাগ কোঁকড়া করা হয়েছে। যাঁরা বড় আকারের ঢেউ চাইছেন না চুলে, তাঁরা এটা করে দেখতে পারেন।
রঙের খেলা
সোজা চুল ব্লো ড্রাই করে নেওয়া হয়েছে। এবার পছন্দমতো কয়েকটি আলগা রঙের স্ট্রিং চুলে আটকে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছা করলে যেকোনো সময়ই খুলে ফেলতে পারবেন। পারলারে গিয়ে সহজেই এগুলো লাগিয়ে নিতে পারেন।
Also Read: লম্বা চুল পেতে চান?
Also Read: বাড়িতেই কাটি চুল
Also Read: চুলে রং করুন ঘরে বসেই
Also Read: এ সময়ে চুলের যত্নে
Also Read: চুলের জন্য গরম ভাপ
আরও পড়ুন
-
মানুষের হাত-পা কেটে নিজেই ‘অস্ত্রোপচার’ করতেন মিল্টন সমাদ্দার: ডিবি
-
শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুল করে ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল: মন্ত্রণালয়
-
ইজারার পুরো টাকা না দিয়েই গাবতলী পশুর হাট দখল, হাসিল আদায় ডিপজলের
-
মানব পাচার মামলায় চার দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
-
শিক্ষার্থী বিক্ষোভে বাম–ডান দুই দিক দিয়েই বিপদে বাইডেন