Thank you for trying Sticky AMP!!

ছবি: পেকজেলসডটকম

সুস্থ চুলের জন্য

চুলের পরিচর্যায় বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের প্রসাধনী। এর মধ্যে রয়েছে হেয়ার সিরাম, ম্যাসাজ ক্রিম, স্প্রে ইত্যাদি। কিন্তু এর কোনোটিই তেলের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি আজও। প্রাচীনকাল থেকে আজও চুলচর্চায় তেল গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর ব্যবহার পদ্ধতিতে যোগ হয়েছে নতুন ভাবনা। আবার একসময় শুধু নারকেল তেলের ব্যবহারই ছিল জনপ্রিয়। সে জায়গায়া আমন্ড, জোজোবা, আর্গান, ক্যাস্টর ও অলিভ তেলের ব্যবহার রেড়েছে চুলের পরিচর্যায়। এসব তেলের গুণাগুণও ভিন্ন ভিন্ন। নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে এসব তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  

প্রতিদিনের ধুলা–ময়লা তাড়াতে চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহার বেশ জরুরি। আবার শ্যাম্পুতে থাকা নানা ধরনের কেমিক্যাল চুলের ক্ষতিও করতে পারে। তাই শ্যম্পু করার কয়েক ঘণ্টা আগে, চুলে তেল ম্যাসাজ করে নিলে। শ্যাম্পুর রাসায়নিক ক্ষতির প্রভাব অনেকটাই কম হবে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

এ ছাড়া সপ্তাহে অন্তত এক দিন হট অয়েল ট্রিটমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। চাইলে ঘরেই করা সম্ভব হট অয়েল ট্রিটমেন্ট। এ জন্য একটি পাত্রে আমন্ড, জোজোবা, আর্গান ও অলিভ অয়েলের প্রতিটি ২ চামচ করে নিয়ে সামান্য গরম করে মাথার তালুতে ও চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। নিয়মিত এর ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন বেশি গরম না করা হয়।

দূষণ ও রোদের তীব্রতা থেকে চুল বাঁচাতে ঘরেই তৈরি করতে পারেন চুলের প্রোটিন প্যাক। দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী একটি বা দুটি ডিমের কুসুম ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চুলে লাগিয়ে অন্তত আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এতে চুলের প্রাকৃতিক রং আরও উজ্জ্বল হয় এবং চুলের ঘনত্ব বাড়ে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

বর্তমান সময়ে অনেকেরই অল্প বয়েসই চুল পড়তে শুরু করে। দূষণ, প্রসাধনীতে থাকা রাসায়নিকের প্রভাবেই এমনটা হয়ে থাকে। এর থেকে রেহাই পেতে আমন্ড বা নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করা উচিত।

অনেকেই মনে করেন শর্ষের তেল চুলের জন্য তেমন উপকারী নয়। এ ধারণাটি ভুল। আবার এই তেল ব্যবহারে চুল চিটচিটেও হয়ে যায়। এ জন্যও অনেকে শর্ষের তেল ব্যবহারে আগ্রহী নয়। কিন্তু মাথার ত্বকে যেকোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশনে এই তেল বেশ উপকার। আবার চুল পাকার প্রভাব কমাতে শর্ষের তেল বেশ কার্যকর।
শুষ্ক, নির্জীব চুলের জন্য একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ ক্যাস্টর বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পুরো চুলে লাগাতে হবে। এবং আধা ঘণ্টা পর হালকা শ্যম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতে একটা সম্পূর্ণ কমলালেবুর রসে ৭-৮ ফোঁটা চন্দন কাঠের তেল, ১ টেবিল চামচ মধু এবং কিছুটা পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে, শ্যাম্পুর ক্ষারীয় ভাব দূর হবে। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নেওয়া উচিত।