Thank you for trying Sticky AMP!!

মেকআপ কম থাকলেই যে সুন্দর বেশি লাগে এটার যথার্থ প্রমাণ এই নো–মেকআপ বা মিনিমাল মেকআপ লুক

নো–মেকআপ লুক ১২ ধাপে

ভারতীয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট কিংবা বাংলাদেশি অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের সাজেও প্রাধান্য পেয়েছে কম সাজের ধারা। এই দুটি বিয়ের সাজই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পেয়েছে ভূয়সী প্রশংসা। মেকআপ কম থাকলেই যে সুন্দর বেশি লাগে এটার যথার্থ প্রমাণ এই নো মেকআপ বা মিনিমাল মেকআপ লুক।

সাজব কিন্তু দেখলে মনে হবে সাজিনি—এ ধরনের সাজই নো মেকআপ লুক। চেহারায় কয়েক স্তরের মেকআপ থাকলেও দেখে বোঝা যাবে না। করোনার ঠিক আগে আগে এই লুকটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। মডেল এবং মেকআপ করতে পছন্দ করেন, এমন মানুষের ত্বকের ওপরই পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে দেখা যাচ্ছিল বেশি। আর এখন তো বিয়ের কনেরাও এই মেকআপের দিকে ছুটছেন। লালের বদলে বাদামি লিপস্টিক, চোখের সাজও হালকা, গালের ওপরও ব্লাশঅন নেই বললেই চলে। সর্বোপরি ফাউন্ডেশন দেখলে মনে হয়, ত্বকটাই দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট কিংবা বাংলাদেশি অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের সাজেও প্রাধান্য পেয়েছে এই লুক। এই দুটি বিয়ের সাজই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পেয়েছে ভূয়সী প্রশংসা। মেকআপ কম থাকলেই যে সুন্দর বেশি লাগে এটার যথার্থ প্রমাণ এই নো মেকআপ বা মিনিমাল মেকআপ লুক।

মিনিমাল মেকআপ লুকের জন্য ত্বকের সুস্থ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জানালেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। স্বাস্থ্যকর খাবার, আদর্শ জীবনযাপন ত্বকের ভালো থাকা নিশ্চিত করে। রাতে যে সময় ঘুমানো উচিত, তখনই ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। তবে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘুমালে যে উপকার পাবেন, সেটা ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমালে মিলবে না। বেশি করে পানি খাওয়া আবশ্যক। পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের যত্নও নিতে হবে। মাসে ২ বার ফেসিয়াল করানো ভালো। আমাদের প্রায় প্রতিদিনই বের হতে হয়, মেকআপও নিতে হয়, ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে ডিপ ক্লিনসিং ফেসিয়াল। না হলে ব্রণ বা ছোপ ছোপ দাগ পড়ার মতো সমস্যাগুলোই জানান দেবে আপনার ত্বক ভালো নেই। এই ত্বকে মিনিমাল লুক বা নো মেকআপ লুক করা কঠিন। ত্বক যত সুস্থ থাকবে, মেকআপ তত ভালো বসবে।

Also Read: ভ্যাপসা গরমে ত্বকের যত্ন

১২ ধাপে নো–মেকআপ লুক

নো–মেকআপ লুক নেওয়ার ধাপগুলো সাধারণ মেকআপের ধাপের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। পার্থক্য প্রতিটি স্তরে হালকা ধরনের প্রসাধনী বেছে নিতে হবে। যেমন ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশন না বেছে বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম নিতে পারেন। ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশনে ত্বকের মূল রং বা কাঠামো দেখা যায় না, বোঝাও যায় না। অনেক ভারী একটা অনুভূতি পাওয়া যায় মেকআপধারীর চেহারার দিকে তাকালেই।

চলুন এবার জেনে নিই, নো মেকআপে কোনটার পর কোনটা করতে হবে।

১. প্রথমেই মুখমণ্ডল এবং গলার ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

২. স্ক্রাব করুন।

৩. ত্বক উপযোগী শিট মাস্ক ব্যবহার করুন।

৬. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

৭. প্রাইমার লাগান। যদি মেকআপে একটু ডিউই ভাব চান, তাহলে সে ধরনের প্রাইমার বেছে নিন।

৮. নো মেকআপ লুকের আরেকটি বিষয় হলো আপনার ত্বকের শ্রেষ্ঠ রূপটি বের করে আনা। এ কারণে ফাউন্ডেশন লাগালে খুবই হালকা ধাঁচের ফাউন্ডেশন লাগান, যেটা ত্বক ঢেকে ফেলবে না। ফাউন্ডেশনের বদলে বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম লাগাতে পারেন।

৯. কালার কারেক্টর ব্যবহার করে কনসিলার লাগান।

১০. ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কাছাকাছি রঙের ব্লাশঅন বেছে নিন। কড়া গোলাপি কিংবা লাল রং থেকে দূরে রাখুন গালকে। ক্রিমভিত্তিক ব্লাশঅন নিলে ভালো। শিমারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পাউডারভিত্তিক শিমারে অনেক সময় দানা দানা ভাব চলে আসে।

১১. চোখের সাজের জন্যও ক্রিম হাইলাইটার ব্যবহার করুন। ভুরুও অনেক বেশি গাঢ় করে আঁকা যাবে না।

১২. ঠোঁটও হবে হালকা রং। চাইলে লিপগ্লসও নিতে পারেন।

সাধারণত দিনের জন্য আদর্শ হলেও রাতেও মানিয়ে যাবে এ ধারার সাজ। তখন শুধু চোখের সাজটা একটু গাঢ় করে নিলেই হবে।

পোশাকের রং যা–ই হোক না কেন, সাজ যদি হয় হালকা, পুরো লুকেই আসবে স্নিগ্ধতা।

Also Read: মেকআপ করার আগে যা করবেন