Thank you for trying Sticky AMP!!

আপনি কি অযথাই দুশ্চিন্তা করেন? তবে লেখাটি আপনার জন্য

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের মানসিকভাবে পঙ্গু বানিয়ে ফেলে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব আর সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগায়। একসময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হতাশাসহ নানান মানসিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সাত উপায়ে আপনি দূরে থাকতে পারেন দুশ্চিন্তা থেকে।
আপনি কি অযথাই দুশ্চিন্তা করেন?

১. সিদ্ধান্ত নিন। ছোট ছোট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৩০ সেকেন্ড করে সময় নিন। মাঝারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৩০ মিনিট সময় নিন। আর বড় কোনো সিদ্ধান্ত সব দিক বিবেচনা করে ভেবে নিন। অন্তত ৩০ ঘণ্টা সময় নিন সে জন্য। এভাবে সিদ্ধান্ত নিলে আপনাকে অযথা দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না।

২. দ্বিধা আর দুশ্চিন্তা দূরে রেখে কোনো কাজ করতে চাইলে ১০, ৯, ৮, ৭...এভাবে উল্টো করে মনে মনে শূন্য পর্যন্ত গুনে তারপর কাজটি করুন। এভাবে মস্তিষ্কের ভেতরের চলমান দুশ্চিন্তাকে উপেক্ষা করে কাজে মনোনিবেশ করা যায়।

৩. সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, মনোনিবেশ করুন। সিনেমা দেখুন, গল্প করুন, ছবি আঁকুন, রান্না করুন। এমনভাবে নিজের দিনের রুটিন সাজান, যেখানে দুশ্চিন্তা করার বিশেষ সময় নেই। দুশ্চিন্তাকে দূরে ঠেলে রাখুন। নিজেকে বলুন, যেটার ওপর আপনার কোনো হাত নেই, যেটা ঘটবেই, অথবা ঘটবে না, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা কেন?

৪. আমরা এমন একটা বিশ্বে বাস করি, যেখানে যেকোনো বিষয়েই প্রায় ৭০ শতাংশ তথ্য খুঁজলেই পাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিতে পারেন।

৫. গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যা কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করি তার শতকরা ৯০ ভাগ বিষয় বাস্তবে ঘটেই না। পরিসংখ্যানটি মনে রাখুন।

৬. বিষয়টি আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতেই পারে। তবে আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রেই দুশ্চিন্তার ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। গুগলে একটা ডক ফাইল খুলুন। সেখানে নিজের ৮৫ বছর বয়সী সত্তার সঙ্গে কথোপকথন জুড়ে দিতে পারেন।

৭. বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। হালকা হোন। অথবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ‘রিল্যাক্সিন’জাতীয় ওষুধ খান। মিউজিক থেরাপিও নিতে পারেন। এ ছাড়া খানিক হেঁটে এলে, ব্যায়াম করলে বা যেকোনো শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করলে ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণ হওয়ায় সাময়িকভাবে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।