Thank you for trying Sticky AMP!!

আসছে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক

দেশ–বিদেশের ৩১ জন ডিজাইনারের নকশা করা পোশাক নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘ট্রেসেমে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ২০১৯’। দেশের ফ্যাশন ডিজাইনারদের সংগঠন ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) ও ইউনিলিভারের হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ড ট্রেসেমে যৌথভাবে এই ফ্যাশন শোর আয়োজন করেছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এই ফ্যাশন সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন আয়োজকেরা। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ১ নম্বর হলে অনুষ্ঠিত হবে ফ্যাশন শো। তিন দিনের এই ফ্যাশন আয়োজন শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি।
প্রথম দুই দিন সন্ধ্যায় ১০ জন করে ডিজাইনারের পোশাক প্রদর্শিত হবে ফ্যাশন মঞ্চে। শেষ দিন দেখা যাবে ১১ জনের নকশা।
এ আয়োজন নিয়ে এফডিসিবির সভাপতি মাহিন খান বলেন, ‘ডিজাইনারদের নকশা করা পোশাক সারা বিশ্বেই সমাদৃত। ফ্যাশন উইকের ধারণা তো বিশ্বের বড় শহরগুলোতে প্রতিষ্ঠিত। ফ্যাশন উইকের মাধ্যমে স্থানীয় নকশা সহজেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে।’
পরিবেশবান্ধব পণ্যের দিকে ঝুঁকছে পৃথিবী। তাই বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকে যেসব পোশাক দেখানো হবে, সেগুলোতে জোর দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী কাপড়ের দিকে। আর নকশা হিসেবে দেশজ উপাদান ব্যবহার করছেন ডিজাইনাররা। মাহিন খান যেমন গৌঢ় ও এই অঞ্চলের ইসলামি নানা অলংকরণ থেকে বাছাই করছেন মোটিফ।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড পারসোনাল কেয়ার বিভাগের পরিচালক নাফিস আনোয়ার বলেছেন, ‘২০১৫ সাল থেকে ট্রেসেমে বিভিন্ন ফ্যাশন আয়োজন স্পনসর করছে। নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক, মিলান ফ্যাশন উইকের মতো বড় বড় আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইউনিলিভারের। তাই বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকও ভালো হবে আশা করি।’

এফডিসিবি ও ট্রেসেমে এর আগে আয়োজন করেছিল খাদি উৎসব। ছবি: নকশা

কোন দিন কার পোশাক
২৩ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশের ডিজাইনার লিপি খন্দকার, হুমায়রা খান, রিফাত রেজা, সারাহ করিম, সাদিয়া মিশু, ইজমাত নাজ, মুশাররাত রহমান, ভারতের পারমিতা ব্যানার্জি, মালদ্বীপের আয়শাত সামলা ও নেপালের অনু শ্রেষ্ঠা।

২৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশের ডিজাইনার ফারাহ আনজুম বারি, শাহরুখ আমিন, আফসানা ফেরদৌসি, ফাইজা রহমান, রুপো শামস, তাশফিয়া আহমেদ, শৈবাল সাহা, থাইল্যান্ডের সুকাজিত দায়েংচি, ভুটানের কেঞ্চ ওয়াংমো ও ভারতের শ্বাতী কালসি।

২৫ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশের ডিজাইনার মাহিন খান, কুহু প্লামন্দোন, এমদাদ হক, চন্দনা দেওয়ান, মারিয়া সুলতানা, রিফাত রহমান, শ্রীলঙ্কার কাঞ্চনা থালপাওইলা, পাকিস্তানের ফাইজা সামি, ভারতের কল্লোল দত্ত ও ইন্দোনেশিয়ার মেরডি সিহোমবিং।