Thank you for trying Sticky AMP!!

এক পোশাক বারবার পরেন কৃতি

ফাল্গুনী পিকক থেকে শুরু করে মনীষ মালহোত্রার বিয়ের পোশাকের সংগ্রহ—সবখানেই কৃতি শ্যানন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার কৃতি দেখা দিলেন ভোগ ইন্ডিয়ার ডিজিটাল সংস্করণে। ‘মিমি’ সিনেমাটি হিট হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ফ্যাশন ফটোশুটে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন কৃতি। এবার ভোগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বললেন বলিউডের বড় পর্দায় বদলে যাওয়া নারী চরিত্র নিয়ে, নিজের জীবনযাপন আর লাইফস্টাইলের অংশটাও বাদ যায়নি। রিতু কুমারের ডিজাইন করা পোশাকে স্টাইল করেছেন প্রিয়াঙ্কা কাপাডিয়া। টেকসই পোশাক তৈরিতে নামডাক আছে ৭৬ বছর বয়সী ভারতীয় ডিজাইনার রিতুর। মেকআপ করেছেন সন্ধ্যা শেখর। ভোগের ছবিগুলো তুলেছেন আভানি রাই।

কৃতির পরনের লেহেঙ্গাটি রিতু কুমারের ডিজাইন করা। ব্রেসলেট আর আংটিগুলো নেওয়া হয়েছে ফরাসি ব্র্যান্ড কার্টিয়ার থেকে।

গত দুই বছরে কৃতি ১০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর প্রতিটি ছবিতে নারী চরিত্রগুলো শক্তি আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। শুরুতে হোঁচট খেলেও এখন ক্যারিয়ারের ট্রেন তরতর করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কৃতিকে। এই মুহূর্তে সীমাহীন ব্যস্ততা কৃতির। তবে কিনা এমন জীবনই চেয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘যে ম্যাগাজিনই হাতে তুলছি, প্রচ্ছদে আমি। ইনস্টাগ্রামে ভারতের সেরা ডিজাইনারদের পোশাকে ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কি, এমন জীবনই আমি চেয়েছি।’ তবে তিনি যেনতেন ফটোশুটে অংশ নেন না। পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন টেকসই ফ্যাশনকে।

কৃতির পরনে ‘ফ্লোরেন্স’ লেহেঙ্গা, পুরো জমিনে এমব্রয়ডারির কাজ। এটিও রিতু কুমারের তৈরি

কৃতি বলেন, ‘আমি যে পোশাকগুলো পরি, সেগুলোর খুঁটিনাটি খেয়াল করি। এগুলো আমার ত্বকের সঙ্গে মানানসই। তাই আমি বলতে পারি, এই কাপড় অন্য কেউ পরলে অস্বস্তি হবে না। আর পোশাকগুলো এমন যে দশকের পর দশক পরা যাবে। ডিজাইন, বুনন—সবকিছুতে টেকসই মুড আছে। আমি কিন্তু এক পোশাক বারবার পরায় বিশ্বাসী।’

মহামারিকালের বন্দিত্বের দিনগুলোর কথা উল্লেখ করে এই বলিউড তারকা বলেন, ‘মহামারিকালে সবাই কমবেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল। এখন তাদের ভরপুর বিনোদন প্রয়োজন। তাই আমি সামনের ছবিগুলো মূলত দর্শকদের ভরপুর আনন্দ দেওয়ার জন্য করব।’

এমব্রয়ডারি করা ‘গাজেলা’ লেহেঙ্গাটিও রিতু কুমারের নকশায় তৈরি

‘মিমি’ সিনেমার জন্য ৩ মাসে কৃতি শ্যানন ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়ানোর জন্য তিনি পনির, মিষ্টি, ঘি, রসগোল্লা, বার্গারও খেয়েছেন। আবার শুটিং শেষ করে চার মাসের ভেতর বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ঝরঝরে হয়ে গেছেন! এরপর একের পর এক চলেছে ফ্যাশন ফটোশুট।