দেশি খাদির উজ্জ্বল আয়োজন
খাদি মানেই ধবধবে সাদা বা ঘিয়ে একখণ্ড বস্ত্র। এই ধারণা নিয়ে বসে থাকার দিন বোধ হয় শেষ হতে যাচ্ছে। অন্তত দেশি ডিজাইনাররা সেই আভাসই দিচ্ছেন। টুকটুকে লাল, কমলা, সোনালি, সবুজ, কালো—কোন রং নেই খাদি কাপড়ের পোশাকে! ভবিষ্যতে খাদি যে নতুন সম্ভাবনা জাগাচ্ছে তার আভাস পাওয়া গেল গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়।
‘ট্রেসেমে খাদি, দ্য ফিউচার ফেব্রিক শো ২০১৭’ শিরোনামে খাদি উৎসবের রানওয়েতে গতকাল সন্ধ্যায় নানা রঙের খাদি দেখালেন ডিজাইনাররা। দুই দিনের এই আয়োজনের প্রথম সন্ধ্যা ছিল কাল।
রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের রাজদর্শন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের উৎসব। দুই দিনের ফ্যাশন শোর আজ শেষ দিন। ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) আয়োজিত খাদি উৎসব এবার তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। দেশ-বিদেশের মোট ২৭ জন ডিজাইনারের মধ্যে প্রথম দিন রানওয়েতে দেখা গেছে ১৩ জন ডিজাইনারের পোশাক। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শৈবাল সাহা, ফারাহ আনজুম বারি, শাহরুখ আমিন, এমদাদ হক, নওশিন আফসানা ফেরদৌসী, ফাইজা আহমেদ, সারাহ্ করিম ও ফারাহ দিবার নকশা করা খাদির পোশাকে দেখা গেছে নতুন ধারা। তাঁরা খাদির পোশাকে নকশা করেন শীতলপাটি, গয়নার কারুকাজ, ক্যালিগ্রাফি ও রিকশাচিত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে। এ ছাড়া ভারতের সৌমিত্র
মণ্ডল, নেপালের রসনা শ্রেষ্ঠা, ভুটানের চিমমি চোডেন ও জুনের নকশা করা পোশাক পরে মঞ্চে হাঁটেন মডেলরা। ফ্যাশন শোর মডেলদের সাজিয়েছেন ফারজানা শাকিল এবং কোরিওগ্রাফার ছিলেন ইমু হাশমী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই এফডিসিবির সভাপতি ডিজাইনার মাহিন খান সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশপ্রেম ও সংস্কৃতির সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে খাদি। পুরোনো সেই খাদির সুদিন আবার ফিরিয়ে আনতেই নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের পছন্দমতো নকশায় রাঙানো হচ্ছে পোশাক।’ খাদি উৎসবের টাইটেল স্পনসর ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড ট্রেসেমে। সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, সেনোরা, বার্জার, আইপিএবি, দ্রুক এয়ার ও দা ওয়ে ঢাকা।
আরও পড়ুন
-
সকাল ৯টার ট্রেন ছাড়েনি বেলা ২টায়ও, স্টেশনেই ঘুমিয়ে পড়েছেন ক্লান্ত মা-মেয়ে
-
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
-
সঠিক তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করলে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
-
ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৬ দিন ধরে, বলছে আবহাওয়া অফিস
-
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা