Thank you for trying Sticky AMP!!

ফ্যাশনমঞ্চে তুলে ধরেছি রিকশাচিত্র

>ফ্যাশন উইকের প্রথম দিনেই এনএফআইডির নবীন ডিজাইনাররা তাঁদের কাজ দেখান। বাংলাদেশের ডিজাইনার সাদিয়া রেজওয়ানার পোশাকগুলো নজর কাড়ে র​্যাম্পে। তিনি বাংলাদেশের রিকশাচিত্র তুলে ধরেন তাঁর ডিজাইন করা পোশাকে। ল্যাকমেতে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছেন সাদিয়া

আমি বাংলাদেশের এক নামজাদা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলাম। মনীশ মালহোত্রার ইনস্টিটিউটে আমি ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। তাই কলকাতার সল্টলেকের আইএনআইএফডিতে ভর্তি হই। গত বছর ‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক’-এ অংশগ্রহণ করেছিলাম। বাংলাদেশি ডিজাইনার হিসেবে আমি প্রথম এই ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ করি। এবারে আমি ল্যাকমের শোতে এসেছি। এই শোতে আমার সংগ্রহের নাম ‘রিকশা রংবাহারি’। আমি আমার এই আয়োজনে বাংলাদেশের লিনেন সিল্ক এবং পিওর সিল্ক মিশিয়ে ব্যবহার করেছি। আমরা একে বলাকা সিল্ক বলি। আমি এখানে পোশাকের মাধ্যমে রিকশাচিত্র তুলে ধরেছি। ছোটবেলা থেকে আমাকে রিকশার আঁকিবুঁকি ভীষণভাবে আকৃষ্ট করত। আর রিকশাচিত্রশিল্পীরা নিজের চোখে যা যা দেখেন তা আঁকার মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে ফুটিয়ে তোলেন। এখানে অত বেশি শিল্পের ব্যাকরণ নেই। ধীরে ধীরে আমাদের দেশে রিকশাচিত্রশিল্পীরা হারিয়ে যেতে বসেছেন। এই শিল্পকলা প্রায় অবলুপ্তির পথে। কারণ, এখন কম্পিউটার প্রিন্ট বেশি হয়, হাতে আঁকা রিকশাচিত্র এখন খুব কম হয়। তাই রিকশা অঙ্কনশিল্পীরা প্রায় কর্মহীন হয়ে যেতে বসেছেন। এই রিকশাচিত্রশিল্প অনেক বেশি জমকালো, রঙিন এবং আকর্ষণীয়। আমি ভাবলাম যে যদি এটা পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি। কিন্তু এর জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ, এই সব শিল্পী কাপড়ের ওপর আঁকতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। অবশেষে পুরান ঢাকার রিকশাচিত্রশিল্পী হানিফ পাপ্পু কাজটি করতে রাজি হন। উনি দুজন সহকারী নিয়ে সমস্ত আঁকাআঁকি করেন। আমার চিন্তাভাবনা এবং হানিফ পাপ্পুর শিল্পকলা দিয়ে আমার এই নতুন সৃষ্টি। বাংলাদেশ এবং ‘আইএনআইএফডি সল্টলেক’-এর হয়ে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে দারুণ লাগছে। আমি প্রথম ডিজাইনার যে বাংলাদেশের হয়ে ল্যাকমের ফ্যাশন আঙিনায় পা রেখেছি। সবার ভালোবাসায় এবং প্রশংসায় আমি অভিভূত।

সমাপনী দিনে শো–স্টপার ছিলেন কারিনা কাপুর

শেষ রজনী
ল্যাকমের শেষ আয়োজন মানেই ঝলমলে এক রাত। ফাল্গুনের সেই রাতকে আরও উষ্ণ করে তোলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। ডিজাইনার অমিত আগরওয়াল ল্যাকমের সমাপনী রাতে পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর এএক্সআইএল কালেকশনের সঙ্গে। এই আয়োজনে ছিল রাতের দাওয়াতের পোশাক। তাই লাল, সবুজ, বেগুনি, কালো, ধূসরসহ নানা উজ্জ্বল রঙের পোশাক নিয়ে মঞ্চে আসেন তিনি। অমিত তাঁর পোশাকের মাধ্যমে মেলে ধরেন সিক্যুইন হাতের কাজের বাহার। এই ডিজাইনার গ্রীষ্মের পার্টিকে আরামদায়ক করতে ব্যবহার করেছেন হালকা ও নরম কাপড়। অমিতের ডিজাইন করা উজ্জ্বল সবুজ রঙের অফ শোল্ডার গাউন পরে র্যাম্পে হাঁটেন কারিনা কাপুর খান। ল্যাকমের থ্রিডি মেকআপে এই রাতে তিনি ছিলেন আরও আবেদনময়ী। 

ডিজাইনার সাদিয়া রেজওয়ান


গ্রন্থনা: দেবারতি ভট্টাচার্য