Thank you for trying Sticky AMP!!

বরের সাজ এখন

মডেল:নাহিদ, পোশাক: ওটু, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ, স্থান: হোটেল আমারি ঢাকা, ছবি: কবির হোসেন

একটা সময় বরের পোশাক ভাবলেই শেরওয়ানির কথা মাথায় আসত। তবে এখন বরের পোশাক আটকে নেই শেরওয়ানিতে। এখন প্রিন্সকোট, ব্লেজার বা কটিসহ পাঞ্জাবি পরতে দেখা যাচ্ছে বরদের। রঙের ক্ষেত্রেও একই কথা। নীল, কালো, ধূসর বা সাদা রং দেখা যাচ্ছে আজকালের বরের পোশাকে। আর কনের সাজপোশাকের সঙ্গে মিল দেওয়া হচ্ছে বরের পোশাকের একটি ছোট্ট অংশ। সেটা হতে পারে বরের পোশাকের কলার, হাতা, পকেট বা বাটন প্লেটের ছোট্ট একটু কারুকাজ, নয়তো মাথার পাগড়ির সঙ্গে। এই সময়ের বরের চার ধরনের সাজ থাকছে এখানে।

সুতির সাদা পাঞ্জাবি ও পায়জামায় স্লিম ফিট কাট। তার ওপরে চাপানো হয়েছে হাতা কাটা ফুলেল ছাপের প্রিন্সকোট। আংটি বদলের অনুষ্ঠান বা বিয়ের পর ফিরানির দিন শ্বশুরবাড়িতে নতুন বরের পোশাক হতে পারে এমন।

ছবি: কবির হোসেন

গাঢ় নীল রঙের সিনথেটিক স্যুট ফেব্রিকের এই প্রিন্সকোট বরের সাজে আনবে রাজপুত্রের ভাব। কলারের দুই পাশে ছোট্ট যে জরি ও সুতার কারুকাজ, তার সঙ্গে মিল থাকতে পারে কনের পোশাকের। সরাসরি রং না মিলিয়ে বউয়ের পোশাকের এক টুকরো কাপড় যোগ হতে পারে বরের পকেট স্কয়ার হিসেবে। সঙ্গে ফরমাল প্যান্ট, জুতা আর ঘড়ি থাকলেই সাজে আসবে পরিপূর্ণ ভাব। বিয়ে ছাড়াও বউভাতের দিন এমন সাজে আধুনিক দেখাবে বরকে।

কুচকুচে কালো রং বিয়েতে! একটা সময় যা ভাবাই যেত না, এই প্রজন্মের বরেরা সেটা বেছে নিচ্ছেন হরহামেশা। মখমলের এই কালো শেরওয়ানি তাই এই সময়ের বরদের জন্য উপযুক্ত। সঙ্গের পাগড়িটা ফুলেল ছাপের। হাতে বাঁধা হয়েছে। শেরওয়ানির ইনার পাঞ্জাবির রং বেছে নেওয়া হয়েছে সাদা পায়জামার আদলে। শেরওয়ানির বোতামের সঙ্গে পকেট স্কয়ার ব্যবহার করা হয়েছে সোনালি।

ছবি: কবির হোসেন

কালো ফরমাল শার্ট ও প্যান্টের ওপর সাদাকালো ডোরাকাটা ছাপের (জেব্রা প্রিন্ট) স্যুট। মাইক্রো ফ্যাব্রিকে তৈরি এই স্যুটের সামনের দিকে আছে ডিনার ল্যাপেল। এর সঙ্গে মিলিয়ে হাতা ভাঁজ করে (ফোল্ডিং) রাখা। বাগদান বা বউভাত রাতে হলে এই সাজে দারুণ দেখাবে বরকে।