Thank you for trying Sticky AMP!!

বৈশাখী পোশাকের আয়োজন

ফ্যাশন শোতে দেখানো হয় বৈশাখী পোশাক

ফ্যাশন ডিজাইনারদের বৈশাখী পোশাকের সংগ্রহ নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) আয়োজন করে ‘নব আনন্দে বৈশাখ–১৪২৫’ প্রদর্শনী। ঢাকার গুলশান ২–এর খাজানা গারডেনিয়া ব্যাঙ্কুয়েট হলে গত ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল চলে এ আয়োজন।

বৈশাখী সাজে মেতে উঠতে ১০ জন ডিজাইনার তাঁদের নকশা করা পোশাক নিয়ে হাজির হন এই প্রদর্শনীতে। ডিজাইনার মাহিন খান, কুহু প্লামন্দন, ফারাহ আঞ্জুম বারী, শাহরুখ আমিন, নওশীন খায়ের, লিপি খন্দকার, বিপ্লব সাহা, চন্দনা দেওয়ান, মারিয়া ইসলাম ও রুপো শামসের নকশা করা পোশাক দেখানো হয় এখানে। দেশি উপকরণে তৈরি শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ, পাঞ্জাবিসহ সব পোশাকে ছিল উজ্জ্বল রং ও গ্রামীণ মোটিফ। এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছিল ফিউশনধর্মী নকশা।

ফ্যাশন শোতে দেখানো হয় বৈশাখী পোশাক

মেলার প্রথম দিন ডিজাইনারদের ২০টি পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। শোতে দেখানো হয় আদি নকশার একটি জামদানি শাড়ি। তুলে ধরা হয় পাঞ্জাব, কাশ্মীর, ভুটান, মালদ্বীপ, ফিলিপাইনসহ বেশ কিছু দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকও। এফডিসিবির সভাপতি মাহিন খান জানান, বর্তমানে অন্যান্য দেশও তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ধরে রাখতে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে একত্র হয়ে কাজ করার চিন্তাধারা থেকেই ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়। সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল এই মেলা। এতে বাউল সংগীতের আয়োজনও ছিল। এফডিসিবির আয়োজনে এটি ছিল ষষ্ঠ প্রদর্শনী। এর আগে রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল শাড়ি এবং খাদি পোশাক প্রদর্শনীর আয়োজন করে ডিজাইনারদের এই সংগঠন।

এফডিসিবির আয়োজনে বৈশাখের প্রদর্শনীতে ছিল কারুপণ্যও। ছবি: সাজিদ হোসেন
এফডিসিবির আয়োজনে বৈশাখের প্রদর্শনীতে ছিল কারুপণ্যও। ছবি: সাজিদ হোসেন