Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্কারে তাঁরা কেন নীল ফিতা পরেছিলেন

বিল নই নীল ফিতা ঝুলিয়ে এসেছিলেন অস্কার আসরে

হলিউডের ডলবি থিয়েটারে ১২ মার্চ বসেছিল ৯৫তম অস্কারের আসর। সেখানে ‘টার’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেট ব্লাঞ্চেট। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ক্যাটাগরিতে ‘লিভিং’ চলচ্চিত্রের জন্য বিল নই। শেষ পর্যন্ত জেতেননি দুজনের কেউ-ই। তবে তাঁরা আলোচনায় উঠে এসেছেন অন্য কারণে। দুজনেই বুকে ঝুলিয়ে এসেছিলেন নীল ফিতা। পরেছিলেন আরও অনেক তারকাই। কিন্তু কেন?

অস্কারের আলো ঝলমলে আসরে ছোট্ট এ নীল ফিতা অনেকের চোখ এড়িয়ে যেতেও পারত। কিন্তু যখন তা কেট বা বিলের মতো তারকারা পরেন, চোখে পড়ে বৈকি। আরও ভালো করে লক্ষ করলে দেখা যাবে, ফিতাগুলোতে লেখা ছিলÑ‘উইথ রিফিউজিস’। এ হ্যাশট্যাগ বার্তা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার। মূলত তাদের ‘রিফিউজি কোয়ালিশন’-এর উদ্যোগ এ নীল ফিতা। একে তারা বলছে শরণার্থী ও উদ্বাস্তুদের প্রতি ‘সহমর্মিতা ও সংহতির স্মারক’। আর অস্কারের আসরকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলছে, ‘রেড কার্পেটে এ নীল ফিতা ধারণ করার ঘটনা সবাইকে একটা শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল বার্তা দিল যে সবারই নিরাপত্তার অধিকার আছে, সে যেই হোক, যেখানে থাকুক, যেভাবেই থাকুক।’

নীল ফিতা নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পোস্টার

বিনোদনের জমকালো আসরে এ নীল ফিতার ব্যবহার অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এবারের বাফটার আসরের আগে আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। মারা যান অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত হন আরও অনেক বেশি। অন্যদিকে গত বছরই জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার হিসাব বলছিল, পৃথিবীতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ কোটির বেশি। তাঁদের সবার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বাফটায় এ নীল ফিতা ধারণের শুরু। কেট ব্লাঞ্চেট ছাড়াও পরেছিলেন অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট, কলিন ফেরেল, পল মেসকল, জেমি লি কার্টিস, মিশেল ইয়ো প্রমুখ। এ নিয়ে জেমি লি কার্টিস পরে বলেন, ‘আমার বন্ধু কেট ব্লাঞ্চেট এ আলো ঝলমলে আয়োজনের মধ্যেও সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান, এখনো পৃথিবীজুড়ে ভয়ংকর রকমের শরণার্থী সংকট চলছে। তা মোকাবিলায় আমাদের সবার নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’

কেট ব্লাঞ্চেট অস্কারে নীল ফিতা ধারণের মূল কুশীলব

অস্কারেও এই নীল ফিতা ধারণের মূল কুশীলব কেট ব্লাঞ্চেট। তিনি জাতিসংঘের সংস্থাটির শুভেচ্ছাদূত। বাংলাদেশের শরণার্থী সমস্যার ব্যাপারেও ওয়াকিবহাল তিনি। বৈশ্বিক এ সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি বলেন, ‘সিনেমার যে বিষয়টা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে, এটা আমাদের “মানুষ” ধারণাটার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা সবাই একই রকম, আর সেটাই আমাদের একতাবদ্ধ করে। আমি যেখানেই শরণার্থীদের সঙ্গে মিশি, সেটা হোক লেবানন, জর্ডান বা বাংলাদেশ, এমনকি যুক্তরাজ্যেও, তাদের ভিন্নতা আমাকে অবাক করে না। আমি অবাক হয়ে দেখি, তাদের সঙ্গে আমাদের কত মিল।’

তথ্যসূত্র : ভ্যানিটি ফেয়ার ও কসমোপলিটান