Thank you for trying Sticky AMP!!

কখন শিশুর চোখ দেখাবেন?

বড়দের যেমন রুটিন চোখের পরীক্ষাগুলো করা হয়, ছোটদের তেমনটা বেশির ভাগ সময় করা হয় না। আবার বড়রা যেমন সহজেই চোখের সমস্যাগুলো টের পান, ছোটদের ক্ষেত্রে তা হয় না। ফলে প্রায়ই জটিলতা অনেক বেড়ে যাওয়ার পর শিশুদের চোখের সমস্যা ধরা পড়ে। তাই বড়দের মতো ছোটদেরও মাঝেমধ্যে চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
হ্রস্বদৃষ্টি বা মায়োপিয়া হলে শিশু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখে, কিন্তু দূরের কোনো সাইনবোর্ড দেখতে গিয়ে চোখ কুঁচকে ফেলে। আবার দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারেপিয়াতে উল্টো-কাছের জিনিস যেমন বই, খাতা অস্পষ্ট দেখে। শিশুদের ট্যারা চোখ বা স্কুইন্ট খুবই পরিচিত সমস্যা। এ ছাড়া তাদের কালার ভিশন বা রং চিনতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি ছোটদের ছানি পড়ার ঘটনাও বিরল নয়। জেনে নিন কখন শিশুদের চোখের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
* যদি লক্ষ করেন যে শিশুর দুটি চোখ একই পয়েন্টে বা দিকে স্থির থাকছে না, মানে ট্যারা দেখাচ্ছে।
* মাথা ব্যথা বা মাথা ধরা লেগেই আছে
* বই বা খাতা দেখার সময় একেবারে চোখের কাছে এনে দেখছে
* বারবার চোখ রগড়ায় বা চোখ ঘষে
* স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা পড়তে বা তুলতে পারছে না ঠিকমতো
* অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহারে অস্বাভাবিকতা, যেমন বল খেলতে গিয়ে উল্টাপাল্টাভাবে ধরছে বা ধরতে পারছে না।
এ ছাড়া এমনিতেই শিশুদের বেশ কয়েকবার রুটিন চোখ দেখানো উচিত। যেমন জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ও আরেকবার স্কুলে যাওয়ার সময় অর্থাৎ ৪-৫ বছর বয়সে। এর মধ্যে কোনো সমস্যা লক্ষ করলে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিন। অনেক দেশে প্রতি দুই বছরে একবার শিশুদের চোখ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

চক্ষুবিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল