Thank you for trying Sticky AMP!!

তারুণ্য, ব্যক্তিজীবনের তরুণকালের প্রতিনিধি

তারুণ্যের আত্মকথা

  • তরুণকালের মানসিক সমস্যা ও সাধারণ রোগ হলো: বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মাদকের অপব্যবহার, আচরণগত সমস্যা, নিজেকে আঘাত করা এবং আত্মহত্যা, ইমপালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডার, ইটিং ডিসঅর্ডার, কনভারশন ডিসঅর্ডার, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার, স্কিজোফ্রেনিয়া, সামাজিক ভীতি, হেলথ অ্যাংজাইটি, প্যানিক ডিসঅর্ডার, শুচিবাই, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, নিদ্রাহীনতা, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার) ইত্যাদি।

  • যেকোনো মানসিক সমস্যা বা রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে হবে।

আমি তারুণ্য, ব্যক্তিজীবনের তরুণকালের প্রতিনিধি। আমার বয়সের সময়সীমা ধরা যাক ১৬ থেকে ৩০ বছর। যদিও আমার বয়সের স্থায়িত্ব খুব কম, তবু আমি ব্যক্তির জীবনকালের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এই বয়সে আমার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে। ছাত্রজীবন সম্পন্ন করে কর্মজীবন এবং সংসারজীবনেরও শুরু হয় এই বয়সে।  

ব্যক্তির ১৫-১৬ বছর শারীরিক বয়সেই তারুণ্যের অভিব্যক্তির জন্ম

ব্যক্তির ১৫-১৬ বছর শারীরিক বয়সেই আমার জন্ম। ব্যক্তির জীবনকালকে যদি পাঁচটি ধাপে ভাগ করা হয়, তাহলে আমার অবস্থান তৃতীয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আছে আমার অনুজ ‘শৈশব’ ও ‘কৈশোর’। আর চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে আছে আমার অগ্রজ ‘মধ্যবয়স’ এবং ‘বয়োজ্যেষ্ঠ’। আমার অবস্থানটা অনেকটা জীবনকালের সেতুর মতো, যা শৈশব ও কৈশোরকে মধ্যবয়স এবং বয়োজ্যেষ্ঠ কালের সঙ্গে সংযুক্ত  করে। ব্যক্তির জীবনকালে আমার জোরালো একটা ভূমিকা আছে। অনেক বেশি মানসিক চাপও নিতে হয় আমাকে এই সময়ে। তাই আমার প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিয়ে সুস্থভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ছোট বয়সে আমার মানসিক অবস্থাকে কেউ তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। আমার ছাত্রজীবন নিয়ে সবাই যতটা ভাবে, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ততটা ভাবে না। আর আমার মনের বাড়ির ঠিকানা তো কেউ জানেই না।

‘কৈশোর’ তার জীবনের টানাপোড়েনের ভেতর দিয়ে দুলতে দুলতে চলে যায় এবং তারপরেই আমার (তারুণ্যের) আগমন ঘটে। কৈশোরের দুঃখ-কষ্টের অনেকটা অংশই পড়ে থাকে আমার জন্য। আর তাই আমি ওর মনের অবস্থাটা বুঝতে পারি। আমার জন্মের প্রাথমিক পর্যায়ে আমিও অনেক নড়বড়ে অবস্থায় থাকি কৈশোরের মতো। মাঝে মাঝে আমি নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাই না। কখনো মনে হয় আমি বড়দের দলে, কখনো মনে হয় আমি ছোটদের দলে। কিন্তু বড়দের সঙ্গে যখন মিশতে চাই, কটু কথা শুনতে হয় আবার ছোটদের সঙ্গে মিশতে গেলেও হাসির পাত্র হতে হয়। সত্যিই আমি তখন দ্বিধান্বিত হয়ে যাই আমি কাদের দলে ভিড়ব, আমার অবস্থানটা ঠিক কোথায়। এ বয়সে আমার মনে অনেক রকম প্রশ্ন জাগে, মনের অনেক উত্থান-পতন হয়, যার খবর কেউ রাখে না। এসব কারণে নানা রকম মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে হয় এবং অনেক সময় মানসিক সমস্যাও হয়ে থাকে। এরই মধ্য দিয়ে আমি একটু একটু করে বড় হতে থাকি এবং ধীরে ধীরে পরিণত হই।

ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং পারিবারিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পরিবর্তনের ভেতর দিয়েও যেতে হয় তারুণ্যকে

আমার বয়সের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আছে। আমাকে ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং পারিবারিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম পরিবর্তনের ভেতর দিয়েও যেতে হয়। ধরা যাক, আমার বয়সের তিনটা অধ্যায় আছে; যেমন:

প্রথম অধ্যায় (১৬ থেকে ১৮ বছর)
দ্বিতীয় অধ্যায় (১৮ থেকে ২৫ বছর)
তৃতীয় অধ্যায় (২৫ থেকে ৩০ বছর)
প্রথম অধ্যায় (১৬ থেকে ১৮ বছর)

এ বয়সে আমি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠি। দেখতে দেখতে কলেজের সময় পেরিয়ে ছাত্রজীবনের মূলধারার দিকে প্রবাহিত হতে থাকি। ভীষণ রকম ব্যস্ততায় দিন কাটে আমার। চরম উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা মনে, কোন দিকে যাব, কী করব। পড়াশোনার চাপের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রকম মানসিক চাপ তৈরি হয়। পরিবার থেকে নানা রকম বাধা, জোরজবরদস্তি চলতে থাকে আমাকে নিয়ে, যা অনেক সময় বিপর্যস্ত করে দেয় আমাকে। আমার ভেতরেও অনেক সময় জেদ কাজ করে, মন মানতে চায় না কোনো বাধা। আর তখনই পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সবার সঙ্গে বা সব ক্ষেত্রেই যে আমার এমনটা হয়, তা কিন্তু নয়।

আবার এ বয়সে আমার মনটা অপরিপক্ব থাকলেও শরীরে পরিপক্বতা এসে যায়, হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যার জন্য মনের মধ্যেও নানা রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। আমি অনেক সময়ই না বুঝে অনেক কিছু করে ফেলতে চাই। তখন সবাই আমাকে ভীষণ রকম ভুল বোঝে এবং আমার সঙ্গে নানা রকম দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কিন্তু আমার দোষটা কোথায় আমি তা বুঝি না। আমাকে কেউ সঠিকভাবে বুঝতেও চায় না। কার এত সময় বা ধৈর্য আছে, সবাই ব্যস্ত। আমিও তাই আমার মতোই চলতে থাকি, হয়তো কাউকে কিছু বলার সুযোগও পাই না। অনেক সময় নানা রকম ঝামেলায়ও পড়ে যাই, তখন সবাই উঠেপড়ে লাগে আমাকে দোষ দিতে। অনেক ক্ষেত্রে অনেক ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলি। না বুঝেই আমি নানা রকম খেলায় মেতে থাকি বাস্তবতা থেকে দূরে সরে আবেগীয় মনকে প্রাধান্য দিয়ে। সময়ও হারিয়ে যায় তার আপন গতিতে। আমি হয়তো বুঝতেও পারি না সময়ের মূল্য এবং আমার এ বয়সের গুরুত্ব। মাঝে মাঝে আবেগের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে এগিয়ে চলি।

ছাত্রজীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের শুরু হয় এখান থেকে এবং পেশাগত জীবন নিয়েও ভাবতে হয় আমাকে এ সময় থেকেই। কারণ, ভবিষ্যৎ পেশার বীজ বপন করার সময় এটা। এই সময়টাকে গুরুত্ব না দিলে জীবনের বাকি সময়গুলোতে আফসোস করতে হবে। সুতরাং অবহেলা করার উপায় নেই।

আমার এই বয়সে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়, যা নিয়ে আলোচনা করার মতো সুযোগ থাকা দরকার। সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান করে আমি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাই। এ সময় আমার সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন, তবে অবশ্যই সেটা আমার ওপর জোর করে কিছু হবে না। আমার মনমতো এবং আমার উপযুক্ত হবে এমন কিছু দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। আমি চাই এই সময় পরিবারের সদস্যরা আমার পাশে থাকবে, নিরপেক্ষভাবে আমাকে বোঝার চেষ্টা করবে এবং আমার মতামত জেনে আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করবে। পরিবার এবং বড়দের আন্তরিক সহযোগিতা আমার ভীষণভাবে প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় (১৮ থেকে ২৫ বছর)

জীবনের প্রথম অধ্যায় পেরিয়ে আমি যখন দ্বিতীয় অধ্যায়ে, এ সময় আমার আরেক ধরনের পরিবর্তন হয়, মনের ভেতর অনেক ঝড় চলতে থাকে। নতুন বন্ধুবান্ধব, নতুন পরিবেশ, ভালো লাগা, ভালোবাসার মানুষ, প্রণয় বা বিচ্ছেদ, ভিন্ন নিয়মের পড়াশোনা, বাড়ির বাইরে থাকা, হোস্টেল জীবনের শুরু ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে মানিয়ে চলার প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সে অনেক অভিজ্ঞতাকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলতে থাকে

এভাবেই চলতে চলতে ছাত্রজীবনের অবসান ঘটিয়ে কর্মজীবনের প্রস্তুতি নিতে হয়। অর্থাৎ আরেক জীবনযুদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রে সংসারজীবনের শুরু, যা ভালো লাগার সঙ্গে সঙ্গে মনের মধ্যে নতুন চাপ সৃষ্টি করে থাকে। অনেক সময় আমি খুব হতাশায় পড়ে যাই এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। এ ছাড়া নানা রকম মানসিক সমস্যা শুরু হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে কৈশোরের শেষ থেকে তারুণ্যের প্রাথমিক পর্যায়ে। তাই এই সময়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য একান্তভাবে অন্যান্য সহযোগিতার পাশাপাশি মানসিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি যেন বাস্তবমুখী চিন্তা ও যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আবেগের নিয়ন্ত্রণ করে এই সময়ের জটিলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি এবং সুন্দরভাবে সময়টা কাজে লাগিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পারি, এ বিষয়ে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে হবে। ইনডিভিজুয়াল থেরাপি বা ফ্যামিলি থেরাপি নিতে হবে। তবে সুস্থ পারিবারিক সম্পর্ক এবং পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য।

তৃতীয় অধ্যায় (২৫ থেকে ৩০ বছর)

আমার এই অধ্যায়টা দায়িত্ব গ্রহণ ও কর্মক্ষমতা প্রমাণের সময়। পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিজীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন হয় এই বয়সে। যেমন কর্মজীবন ও সংসারজীবনের সূচনা, প্রথম মা-বাবা হওয়া। জীবনের উভয় পর্যায়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তা মজবুতভাবে গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত সময় এটা। ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলা এই সময়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিনতম একটা কাজ। পরিশ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করার সুবর্ণ সুযোগও এই অধ্যায়ে। ব্যক্তিকে সফল করে গড়ে তুলতে চাইলে এই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে আর তা সম্ভব তারুণ্যকে মানসিকভাবে সুস্থ রেখে। মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে যেকোনো ধরনের মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি।

বিষণ্নতা সাধারণ তরুণকালের মানসিক রোগ

তরুণকালের মানসিক রোগ ও তার প্রতিকার

তরুণকালে সচরাচর যেসব মানসিক সমস্যা ও রোগের বিকাশ ঘটে, তা হলো বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মাদকের অপব্যবহার, আচরণগত সমস্যা, নিজেকে আঘাত করা এবং আত্মহত্যা, ইমপালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডার, ইটিং ডিসঅর্ডার, কনভারশন ডিসঅর্ডার, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার, স্কিজোফ্রেনিয়া, সামাজিক ভীতি, হেলথ অ্যাংজাইটি, প্যানিক ডিসঅর্ডার, শুচিবাই, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, নিদ্রাহীনতা, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার) ইত্যাদি।

তরুণকালের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যক্তির মনের অবস্থা অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো, মুড খুবই ওঠানামা করে, যা অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে মানসিক রোগ শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে এ সময়। কারণ, ব্যক্তির বিকাশকালীন আবেগীয় ধরন আর মানসিক রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম মনে হয়। সাধারণত জটিল ও ক্রনিক শারীরিক রোগের সূচনা হয়ে থাকে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সে কিন্তু জটিল মানসিক রোগ ও অন্যান্য মানসিক সমস্যার শুরু হয় তরুণ বয়সে, বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে। যদিও–বা তরুণ বয়সে কখনো কোনো ক্রনিক শারীরিক রোগ হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রেও সাধারণত মানসিক সমস্যার একটা সংযোগ থাকে। সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের অভাবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলার কারণে তা গুরুত্ব পায় না, যা পরবর্তীকালে জটিল আকার ধারণ করার আশঙ্কা থাকে। যেকোনো রোগ যত দ্রুত শনাক্ত করা যায়, তার চিকিৎসা তত দ্রুত শুরু করা যায়, ফলে প্রতিকার অথবা ব্যবস্থাপনাও অপেক্ষাকৃত সহজ হয়।

তরুণকালের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ব্যক্তির জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আগে প্রয়োজন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন। তারুণ্যের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে ব্যক্তির ভালো থাকা সম্ভব নয়, স্বপ্নপূরণ তো বহুদূরের ভাবনা।

যেকোনো মানসিক সমস্যা বা রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে হবে। রোগের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজন অনুসারে সাইকোথেরাপি, কাউন্সেলিং এবং ওষুধের মাধ্যমে মানসিক রোগের প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট (মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা) মানসিক রোগের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।

তরুণকালের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ব্যক্তির জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আগে প্রয়োজন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন। তারুণ্যের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে ব্যক্তির ভালো থাকা সম্ভব নয়, স্বপ্নপূরণ তো বহুদূরের ভাবনা। এতে করে শুধু যে কারও ব্যক্তিগত জীবনই অসম্পূর্ণ হবে তা নয়, ব্যক্তির পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রও অচল হয়ে পড়বে ধীরে ধীরে। কারণ, তরুণ জাতি একটি দেশের ভবিষ্যৎ। সুতরাং, তরুণদের মানসিক সুস্থতার জন্য তথা ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য সার্বিকভাবে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন।

লেখক: ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়