Thank you for trying Sticky AMP!!

তোতলামো যখন সমস্যা

পরিবেশ ও জিনগত কারণে মূলত তোতলামির সমস্যা হয়ে থাকে। স্বরযন্ত্র বা অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অসুখ কিংবা তার গঠনগত কোনো সমস্যা দায়ী নয়।
শিশুরা যে বয়সে কথা শেখে, সেই সময়ে কথা বলতে খানিকটা অসুবিধা হতেই পারে। একই ধ্বনি বারবার উচ্চারণ করতে করতেই একসময় তার কথা স্পষ্ট হয়ে উঠবে, এটা তোতলামি ভাবার কোনো কারণ নেই, চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই।
তবে কথা শেখার পর যদি শিশু তোতলায়, তাহলে কিছু বিষয় খেয়াল করুন। বাড়িতে, স্কুলে বা শিশুর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি না, যিনি তোতলামির সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে শিশুর কথার মাঝেও তোতলামি চলে আসতে পারে।
শিশু যখন তোতলায় তখন তাকে তোতলানোর বিষয়টি ধরিয়ে দেওয়া যাবে না। তোতলামোর সময় তাকে থামতে বলা যাবে না কিংবা একবার উচ্চারণ করা কথার পুনরাবৃত্তি করার জন্য চাপ দেওয়া যাবে না। বরং ধৈর্য ধরে তার সম্পূর্ণ বাক্য শুনুন এবং তার সঙ্গে আরও বেশি কথা বলুন। এভাবেই ৮-১০ বছর বয়সের মধ্যে এ সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে।
শিশু বয়সের পরেও যিনি তোতলামোর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁকে নিজের মতো করে পড়তে এবং শুনতে দিতে হবে। তিনি নিজের কথা রেকর্ড করে রাখতে পারেন। তিনি রেকর্ড শুনে সঠিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া স্পিচ থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। তোতলামি সারানোর কোনো কার্যকর ওষুধ নেই।
তোতলামি নিয়ে লজ্জার কিছু নেই। আত্মবিশ্বাসী হোন। কথা বলতে গিয়ে আটকে গেলেও কথা থামাবেন না। পৃথিবীতে অনেকেই এ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সাফল্য পেয়েছেন।
অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দিন খান
বিভাগীয় প্রধান, নাক-কান-গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: পরীক্ষার জন্য বারবার রক্ত নিলে রক্ত কমে যেতে পারে কি?
উত্তর: কখনো রোগবালাই হলে বা হাসপাতালে ভর্তি হলে বারবার পরীক্ষার জন্য রক্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এর পরিমাণ খুবই কম—বড়জোর কয়েক মিলিলিটার। অথচ একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি চাইলে একসঙ্গে কাউকে ৫০০ মিলিলিটার রক্ত দানও করতে পারেন। এই রক্ত কিছুদিনের মধ্যেই আবার পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই পরীক্ষার জন্য রক্ত নিলে রক্ত কমে যাওয়ার ভয় নেই।
অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ
মেডিসিন অনুষদ, বিএসএমএমইউ
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
শৈশবের আঘাত কি মস্তিষ্কের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে?
আমার বয়স ৮ বছর। ইতিমধ্যে তিনবার আঘাত পেয়েছি!
ফুটবল বা অন্য কোনো কিছু খেলতে গিয়ে শিশুরা প্রায়ই আঘাত পায়। বয়ঃসন্ধির আগে এ ধরনের আঘাতে অনেকের বোধশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, এ রকম আঘাতের দুই বছর পরও মস্তিষ্কের কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়