Thank you for trying Sticky AMP!!

ফুসকুড়ি মানেই মলম চিকিৎসা নয়

ত্বকের কিছু অংশ লালচে হয়ে গিয়ে চাকা বা গোটার মতো হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে ফুসকুড়ি বা র্যাশ বলে। এর সঙ্গে অনেক সময় ত্বকে অস্বস্তি ও চুলকানি হয়ে থাকে। এমন সমস্যায় অনেকে নিজে নিজে বা ওষুধের দোকানদারের পরামর্শে নানা ধরনের মলম লাগিয়ে পরিত্রাণের পথ খোঁজেন, যা একেবারেই ঠিক নয়।
র্যাশ নানা কারণে হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক প্রভৃতির সংক্রমণ কিংবা ধুলাবালু, প্রসাধনী ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের প্রতি অ্যালার্জির কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। এর ধরন, রং, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি দেখে কারণ নির্ণয় করা যায়।
কী করবেন:
* ত্বক লালচে হয়ে গিয়ে চুলকানি হলে অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
* ত্বকের অস্বস্তি দূর করতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন।
* সমস্যা দূর না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যা করবেন না:
ইচ্ছেমতো যেকোনো ওষুধ লাগানো থেকে বিরত থাকুন। স্টেরয়েডজাতীয় মলম লাগানোর ফলে সাময়িক স্বস্তি মিললেও পরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি বেশি স্টেরয়েড মলম লাগালে ত্বকের স্বাভাবিক পুরুত্ব নষ্ট হওয়া, ত্বকে ভাঁজ পড়া, বেশি ব্রণ হওয়া, অবাঞ্ছিত লোম গজানোর মতো সমস্যার পাশাপাশি শরীরের ওজনও বাড়তে পারে। সংক্রমণের কারণে র্যাশ হলে স্টেরয়েডজাতীয় মলম লাগানো একদমই বারণ। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। মলমে স্টেরয়েডের মাত্রার হেরফের আছে। তাই না বুঝে এগুলো ত্বকে লাগানো ঠিক নয়। অনেকে চুলকানি হলে ছত্রাকরোধী মলম লাগাতে থাকেন। কিন্তু আপনি নিজে র্যাশের কারণ না-ও বুঝতে পারেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই নিরাপদ।
ডা. মো. ইমদাদুল হক
চর্মরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল