Thank you for trying Sticky AMP!!

ওজন কমানোর জনপ্রিয় ৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি

কিছুদিন পরপরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ওজন কমানোর নতুন নতুন পদ্ধতি। বর্তমানে ওজন কমানোর জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি উপায় হলো ৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি। তিন ভাগে ভাগ করা এই পদ্ধতির জনপ্রিয়তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিয়ে শুরু হলেও এর ফল পেতে শুরু করেছেন অনেকে।

৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি কী

এ পদ্ধতিতে ওজন কমানোর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়কে একত্র করা হয়েছে। ব্যায়াম, পুষ্টি ও মানসিক প্রশান্তিকে একত্র করে তৈরি করা হয়েছে ৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি।

নাজিফার শরীরের মেটাবলিম সিস্টেমটাই এমন যে সহজে মেদ জমে না। তাই তাঁর ক্ষেত্রে ওজন কমানো নয়, বরং বাড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ

কীভাবে কাজ করে এ পদ্ধতি

৩০ মিনিট ব্যায়াম

ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক পরিশ্রম শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ক্যালরি বার্ন হয়, ইনসুলিনও তৈরি হয়, যা শরীরকে প্রতিটি মুহূর্তে ব্যস্ত রাখে। আর ওজন কমাতে চাইলে শরীরকে যত বেশি ব্যস্ত রাখা যায়, তত ভালো। এ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়ামে পেশির শক্তি বাড়ে এবং হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়। যে কারণে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চায় মনোযোগ দিতে হবে। এই ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা হতে পারে যেকোনো কিছু। হাঁটা, দৌড়ানো, কার্ডিও, সাঁতার কাটা ও জিম করা। প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট যেকোনো ব্যায়ামের অনুশীলন করতে হবে।

কমাতে হবে ৩০ শতাংশ ক্যালরি

ওজন কমানোর আরেকটি বড় অন্তরায় হলো যথাযথ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ না করা। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। প্রতিদিন কী পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করছেন, কী পরিমাণ ক্যালরি খরচ করছেন, তার একটি ফ্লোচার্ট থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আঁশজাতীয় খাদ্য, প্রোটিন ও মিনারেল গ্রহণ করতে হবে। ক্যালরির ওপর নজর দিতে গিয়ে যাতে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর থেকে সরে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৩০ মিনিট মানসিক প্রশান্তি

মানসিক প্রশান্তি বলতে বোঝানো হয়েছে মনের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে, এমন কিছু করাকে। ধ্যান ও যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে বড় ভূমিকা রাখে। একটি সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন সুস্থ মন। তাই শরীরের ওজন কমাতে চাইলে আগে মনের ওপর থেকে আলাদা ভর কমাতে হবে। তাই সুস্থ মনে শরীরচর্চা করা অতীব জরুরি।
শুধু ডায়েট বা শরীরচর্চা নয়, মনের সুস্থতাও ওজন কমানোর পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। তবে শরীরের ব্যাপারে যেকোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম

Also Read: যেভাবে ৩২ কেজি ওজন কমালেন এই স্থপতি

Also Read: খাওয়াদাওয়ায় যে ৫ নিয়ম মানলে ওজন কমবেই