Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা চলে যাওয়ার পরও কেন মাস্ক পরবেন

নিয়মিত মাস্ক পরলে অনেক ক্ষতিকর জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে পারেন। মডেল : নিকি ও নিহাফ

অধিকাংশ মানুষের কাছেই মাস্ক কেবল করোনা প্রতিরোধের উপায়। সে কারণেই হয়তো ২০২০-২১ সালে যত মানুষ মাস্ক ব্যবহার করতেন, ২০২২ সালে তত মানুষ করছেন না। না, কোনো জরিপের ভিত্তিতে বলছি না। তবে ঘরের বাইরে যাঁরা নিয়মিত বের হন, তাঁরা প্রত্যেকেই উপলব্ধি করবেন এই বাক্যের সত্যতা। কিন্তু করোনার টিকা দেওয়া থাকলেও মাস্ক পরিধানের আবশ্যকতা অস্বীকার করার উপায় নেই।

মাস্ক পরিধান একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

সবসময় মানসম্পন্ন মাস্ক ব্যবহার করুন।

করোনাভাইরাস ছাড়াও নানান জীবাণু শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ঢুকে যেতে পারে আমাদের দেহে, সেগুলোকেও আটকে দিতে পারে মানসম্পন্ন একটি মাস্ক। করোনা সংক্রমণের হার কমলেও অতিমারিতে গড়ে ওঠা সুঅভ্যাসটা বজায় রাখা তাই সত্যিই প্রয়োজন। মাস্ক যিনি পরছেন, তিনি যেমন বাঁচতে পারেন নানান জীবাণু থেকে, তেমনি তাঁর সন্নিকটে থাকা লোকজনও পান সুরক্ষা। কারণ, তাঁর নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে যেসব জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারত, সেগুলোকেও আটকে দিচ্ছে মাস্ক। অর্থাৎ, মাস্কের কল্যাণে সুরক্ষা পাচ্ছেন উভয় পক্ষই। প্রত্যেকেরই তাই মাস্ক পরা প্রয়োজন। তাহলে প্রত্যেকেই সুরক্ষিত থাকবেন অন্যের কাছ থেকে ছড়িয়ে পড়া জীবাণু থেকে। নিজের অজান্তেই কে কোন জীবাণু বহন করছেন, তা তো আর বোঝার সুযোগ নেই। সবারই তাই সচেতন থাকা আবশ্যক। কর্মস্থলে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায়ও মাস্ক পরা প্রয়োজন।

বাড়তি পাওয়া

মাস্ক মুখের ত্বককে বাইরের ধুলোবালু থেকে বাঁচায়।

• মাস্ক পরলে মুখের ত্বক বাইরের ধুলোবালু থেকে বাঁচে।

• মাস্ক পরা থাকলে পথেঘাটে নোংরা-আবর্জনা থেকে আসা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচা যায়।

• উড়ন্ত মাছি কিংবা বহুতল ভবনের ওপরতলা থেকে ফেলা ময়লা মুখে এসে পড়লে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। মাস্ক থাকলে এগুলোর সরাসরি সংস্পর্শ থেকে অন্তত নাক ও মুখের কিছুটা রক্ষা পাবে। তা ছাড়া নোংরা লাগলে সহজে মাস্ক বদলে ফেলারও সুযোগ থাকে।