Thank you for trying Sticky AMP!!

ডায়েটে কতটুকু লবণ-চিনি থাকা উচিত?

লবণ ও চিনি আমাদের খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে অতিরিক্ত লবণ ও চিনি আবার শরীরের জন্য ‘বিষ’। তাহলে কতটুকু লবণ-চিনি আমাদের ডায়েটে থাকা উচিত? আর উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কি ডিম খাওয়া নিষেধ?

পাতে আলাদা করে লবণ খাওয়া একদম ঠিক নয়

লবণ

পাতে আলাদা করে লবণ খাওয়া একদম ঠিক নয়। আমাদের দৈনন্দিন লবণচাহিদা হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, যা খাবারের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা লবণ দিয়েই পূরণ করা সম্ভব। বিশেষ করে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এ ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা উচিত।

অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারও শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ

চিনি

অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারও শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের খাবারে ওজন বেড়ে যায়, সেখান থেকে শরীরে বাসা বাঁধে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল।

ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টিজাতীয় খাবার যথাসম্ভব কম খেতে হবে, তবে একদম খাওয়া যাবে না, এ কথা ভুল। আর সাদা চিনি আসলেই ক্ষতিকর। আমাদের দৈনন্দিন খাবারে চিনি লুকায়িত আছে, তাই চিনিযুক্ত খাবার না খেলেও কোনো সমস্যা নেই।

ডিমের সাদা অংশ শরীরের জন্য খুবই উপকারী

 ডিম

খুব প্রচলিত একটা ধারণা আছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ডিম খাওয়া মানা বা খেলেও কুসুম খাওয়া যাবে না। একটি সেদ্ধ ডিমে সাধারণত ৭৮ ক্যালরি থাকে, অন্যান্য অনেক খাবারের তুলনায় যা তুলনামূলকভাবে কম। পূর্ণবয়স্ক একজন ব্যক্তি প্রতিদিন স্বচ্ছন্দে একটি করে ডিম খেতে পারবেন। ডিমের সাদা অংশ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে অ্যালবুমিন নামের একপ্রকার আমিষ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য জরুরি। যাঁদের হাই কোলেস্টেরল আছে, তাঁরা কুসুম বাদে ডিমের সাদা অংশ নিয়মিত খেতে পারেন। তবে এ ধরনের রোগীদের তেলে ভেজে ডিম খাওয়া উচিত নয়