Thank you for trying Sticky AMP!!

গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা। অনেককেই এ সময় পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে সমস্যা, আ্যলার্জি, ঘুমের ব্যাঘাত, অবসাদগ্রস্তায় ভুগতে দেখা যায়। এর ওপর কিছুদিন আগে পবিত্র ঈদুল আজহা চলে গেল। ঈদে প্রচুর লাল মাংস, তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, প্রসেসড ফুড খাওয়া হয়েছে। এসব খাবার গরম বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত মাংস গ্রহণ করলে এই গরমে হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটিসহ পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। খেতে হবে এমন সব খাবার, যা সহজে হজম হয় ও যাতে পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে।

  • এই গরমে প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার পানি পান করুন। চিনি ছাড়া বা কম চিনি দিয়ে ফলের শরবত, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন, গ্লুকোজ গ্রহণ করুন। এতে শরীর থেকে ঘাম হয়ে বের হয়ে যাওয়া পানির চাহিদা পূরণ হবে।

  • শাকসবজি বেশি খাবেন। বিশেষ করে লাউ, ঝিঙা, চিচিংগা, পটোল, ধুন্দল, পেঁপে খাবেন সবজি হিসেবে। এগুলোতে জলীয় অংশ অনেক।

  • এখন পুষ্টিকর প্রচুর মৌসুমি রসালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। আম, জাম, পাকা পেঁপে, তরমুজ, তালের শাঁস খেতে পারেন। তবে চার–পাঁচ কোষের বেশি কাঁঠাল খাওয়া ঠিক হবে না। এতে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিকেলের পর কাঁঠাল না খাওয়াই উত্তম।

  • সকালের নাশতায় রুটি, পরোটা না খেয়ে দই–চিড়া খেতে পারেন। দুপুরে ভাত, মাছ, সবজি, ডাল, সালাদ খেতে পারেন। সালাদ হিসেবে শসা রাখতে ভুলবেন না। কারণ, শসায় প্রচুর পানি থাকে। বিকেলের নাশতায় ফল, লাচ্ছি বা দই খেতে পারেন। রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা করতে পারলে ভালো। সবজি ও চিকেন দিয়ে স্যুপ খেতে পারেন; সঙ্গে সালাদ বা রায়তা খেলেন। এতে রাতে বেশ ভালো ঘুম হবে। রাতে যত ভারী খাবার খাবেন, এই গরমে তত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।

কী খাওয়া যাবে না

  • ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার তীব্র গরমে খাবেন না।

  • মাংস কম, মাছ বেশি খান। সবজি খান।

  • কোমল পানীয় না খেয়ে ঘরে তৈরি ফলের রস, শরবত বা স্মুদি খান।

  • চা, কফি পান করবেন না। করলেও দুইবারের যেন বেশি না হয়। চা, কফি শরীরের পানি শোষণ করে পানিশূন্যতা তৈরি করে।

উম্মে সালমা তামান্না, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা