Thank you for trying Sticky AMP!!

বমি হওয়া কখন বিপজ্জনক

চলন্ত বাসের যাত্রী কিংবা গর্ভবতী নারীর বমি হওয়াটাকে সাধারণত স্বাভাবিক বলেই ধরে নেওয়া যায়। পচা-বাসি খাবার খেয়ে বমি (ফুড পয়জনিং) হওয়াটাও তাই। তবে সব ক্ষেত্রেই বমির কারণটা একেবারে ‘সাধারণ’ কিছু না-ও হতে পারে। জটিল কোনো রোগের কারণেও সামান্য এই উপসর্গ সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। পরিচিত সাধারণ রোগবালাইয়ের পাশাপাশি হৃৎপিণ্ডের সমস্যা (হার্ট অ্যাটাক), পিত্তথলির রোগ, মস্তিষ্কের টিউমার, পেটের ক্ষত (আলসার), খাদ্যনালিতে কোনো বাধা (অবস্ট্রাকশন), অ্যাপেন্ডিসাইটিসের মতো সমস্যাতেও বমি হতে পারে। আবার সাধারণ কারণে হয়ে থাকলেও অতিরিক্ত বমির কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা থেকে হতে পারে কিডনি বৈকল্যের মতো জটিলতা।

অতিরিক্ত বমির কারণে হতে পারে পানিশূন্যতা

বমি হলে যা করবেন

বমি হলেই ঘাবড়ে যাবেন না। অল্প অল্প করে পানি, স্যালাইন ও তরল খাবার খওয়ার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে তরলের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন। এরপর একটু একটু করে নরম খাবার খেতে পারেন। বমি বন্ধ হওয়ার ঘণ্টা ছয়েক পরে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন। প্রাথমিক চিকিৎসায় বমি বন্ধ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জরুরি পরিস্থিতি

বমির পাশাপাশি এসব উপসর্গ বা চিহ্ন থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে—

  • বুকে ব্যথা, প্রচণ্ড পেটব্যথা, জ্ঞানের মাত্রা কমে যাওয়া (যেমন এলোমেলো কথা বলা)।

  • বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, সবুজ বা পীতাভ রং, কালচে কিংবা কফির মতো বাদামি রঙের বমি হওয়া।

  • তীব্র জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, তীব্র তৃষ্ণা, মুখ শুকিয়ে আসা।

  • শোয়া বা বসা থেকে উঠতে গেলে মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।

  • শ্বাসকষ্ট বোধ করা বা ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া।

  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া কিংবা গাঢ় রঙের প্রস্রাব হওয়া।

বমি হওয়ার পর রক্তচাপ বা পালস রেটের যেকোনো একটি বেড়ে বা কমে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি একটানা বমি হতে থাকে বা রোগী দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে, কিছুদিনের ভেতর রোগীর ওজন হ্রাস পেতে থাকে, তাহলেও চিকিৎসকের কাছে নিতে দেরি করবেন না। আর বয়স্ক ব্যক্তিরা নানা ঝুঁকিতে থাকেন। তাই তাঁদের বমি হলে অবহেলা না করে চিকিৎসা নেওয়াই উত্তম।