Thank you for trying Sticky AMP!!

কিডনি রোগীর রোজায় সতর্কতা 

দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এ সংখ্যা দুই কোটির বেশি। প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। কিডনি রোগীরা রোজা পালন করতে চাইলে তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি নিতে হবে। রোজা পালন করলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনার খাদ্যতালিকা সাজাবেন।

সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কিডনি রোগীরা রোজা পালন করতে পারেন। তৃতীয় পর্যায়ের রোগীদের অবশ্যই কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের রোগী এবং ডায়ালাইসিসের রোগীদের রোজা পালন করা নিষেধ।

কী খাবেন

কিডনি রোগ এমন একটি রোগ, যেখানে পানিও মেপে খেতে হয়। তাই আপনাকে সারা দিন বুঝেশুনে খাবার খেতে হবে।

কিডনি রোগীদের রক্তের ক্রিয়েটিনিন রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রক্তের ইলেকট্রোলাইটসে পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেটের রিপোর্ট দেখে শাকসবজি ও ফলমূলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

রোগীদের যদি শুধু ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে ডাল ও ডালের তৈরি খাবার বন্ধ রাখতে হবে। ডালের বেসন দিয়ে তৈরি চানাবুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন রকমের চপ, পাকোড়া, হালিম খাওয়া বন্ধ। শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটি, বাদাম বা এগুলো দিয়ে তৈরি খাবারও বন্ধ। মাছ–মাংস স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমাতে হবে। গরু–খাসির মাংস বন্ধ; তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে পরিমিত খাওয়া যাবে।

রোগীদের পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট বেশি থাকলে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফল খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

ফল

ফলের মধ্যে প্রায় সব ফলই পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। তাই সব ধরনের ফল খাওয়া বন্ধ রাখাই উত্তম। বিশেষ করে টক ফলে পটাশিয়াম বেশি থাকে। শুধু আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, পেঁপে, বরই কম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। এগুলো দিনে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। ডাবের পানিও বেশ পটাশিয়ামসমৃদ্ধ।

শাকসবজি ও আটা–ময়দার খাবার

● সব ধরনের শাকসবজিতেই কমবেশি পটাশিয়াম থাকে; যা কিডনিবান্ধব নয়। তাই শাকসবজি থেকে কিছুটা পটাশিয়াম কমিয়ে খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে শাকসবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে। শাকসবজি বেশি ঝোল করে রান্না করবেন, কিন্তু কম ঝোল নিয়ে খাবেন। শাকসবজি ভাজি করে খাওয়া নিষেধ।

● আটা–ময়দার তৈরি খাবার খাওয়া কমাতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম পর্যায়ের রোগীদের আটা–ময়দার তৈরি খাবার বন্ধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে চালের আটার খাবার খেতে পারেন।

●সারা দিনে লবণের ব্যবহার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে।

মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল