Thank you for trying Sticky AMP!!

উপহারে বয়াম

এমন নান্দনিক বয়াম বানানো যায় নিজে নিজেই। ছবি: খালেদ সরকার

জন্মদিন, নিমন্ত্রণ, বিবাহবার্ষিকী ইত্যাদি উপলক্ষে উপহার দেওয়ার বিষয়টি পুরোনো রীতি। নতুন আঙ্গিকে ভিন্ন উপহার পেতে কার না ভালো লাগে? যিনি উপহার দেন, তিনিও সন্তুষ্ট থাকেন আর যিনি পান তিনিও। উপহার যদি হয় নিজের হাতে তৈরি বা সাজানো, তাহলে তা হয়ে যায় আরও মূল্যবান।

অনেকেই বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানান চকলেট, বিস্কুট, কার্ড, ফুল ইত্যাদি দিয়ে। এই উপহারগুলোই যদি একটু ভিন্নভাবে সাজিয়ে দেওয়া যায়? চাইলে নিজের বাড়িতে সাজিয়েও রাখতে পারেন বানিয়ে। যেমন, কাচের বয়ামে উপহারগুলোকে আকর্ষণীয় করে সাজানোর কিছু ধারণা নিতে পারেন। বাজারে কাচের নানা ধরনের বয়াম কিনতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া জ্যাম, জেলি, মেয়োনিজ ইত্যাদি খাবারের খালি কাচের কৌটা ঘরে থাকলে সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। শুধু রঙিন ফিতা ব্যবহার করে সাজিয়ে নিলেই হলো। অথবা কাচের ওপর আঁকতে পারেন পছন্দসই নকশা।

গ্লিটার বয়াম বানানোর পদ্ধতি

উপকরণগুলো গুছিয়ে নিন-কাচের বয়াম, গ্লিটারের গুঁড়া, ব্যাটারিচালিত যেকোনো বাতি (যেমন, মরিচ বাতি), স্থায়ী মার্কার পেন, আইকা, কাগজে আঁকা ছবি বা নকশা ও রঙিন ফিতা।
আঁকা ছবির কাগজটা গোল করে গুটিয়ে নিন।
গুটানো কাগজটা কাচের বয়ামে ঢুকিয়ে ছেড়ে দিন। নিশ্চিত হোন, কাচের ভেতরের দেয়াল পুরোটা কাগজ দিয়ে ঢেকে গেছে।
এবার কাচের বাইরের দেয়ালে মার্কার পেন দিয়ে কাগজের ছাপে ছবিটি আঁকুন।
কাগজটি বের করে ফেলুন।
কাচের দেয়ালে আঁকা ছবির আউটলাইনের ভেতরে ভরাট করে আইকা লাগান।
আইকার ওপর ভরাট করে গ্লিটার ছিটিয়ে দিন। আঠা শুকিয়ে কাচের গায়ে গ্লিটার লেগে গেলে আশপাশের বাড়তি গ্লিটার পরিষ্কার করে ফেলুন একটি শুকনো তুলি দিয়ে।
এরপর কৌটার ভেতরে বাতি জ্বালিয়ে ঢুকিয়ে দিন। এখানে একটি ব্যাটারিচালিত মোমবাতি ব্যবহার করা হয়েছে।
বয়ামের মুখ লাগিয়ে দিয়ে এতে রঙিন ফিতা বেঁধে দিন। এবার অন্ধকার ঘরে দেখুন তো কেমন লাগে গ্লিটার জার। শুধু উপহার কেন, চাইলে নিজের ঘরে সাজিয়েও রাখতে পারেন এটি।