Thank you for trying Sticky AMP!!

তাক ব্যবহার করে ঘরের জায়গা বাঁচানো যায়

জায়গা বাঁচাবে অন্দরতাক

ঘরের জায়গা বাঁচাতে এখন অন্দরসজ্জায় জনপ্রিয় হচ্ছে দেয়ালে তাকের ব্যবহার। আলাদা করে নয়, বরং দেয়ালজুড়ে আসবাবের আদলে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এসব তাক। সাধারণত ছোট পরিসরের ঘরকে বড় দেখাতে অন্দরে তাক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এই তাক ঘরে আনে আভিজাত্য।

তাক ঘরে আনে আভিজাত্য

বাসার প্রতিটি ঘরেই এই তাক বসানো যায়। তবে তার জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। কারণ, বসার ঘরের আবহের সঙ্গে যে তাক মানাবে, সেটা একেবারেই বেমানান হবে শোবার ঘরে। একইভাবে রান্নাঘরের তাকের ধরনের সঙ্গে  মিলবে না খাবার ঘরের তাকের ধরন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বসার ঘরে ডেকোরেটিভ তাক দেওয়া ভালো। এর কারণ, এই ঘর শুধুই অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই খুব বেশি জরুরি জিনিসপত্র এই ঘরে রাখার প্রয়োজন হয় না। বসার ঘরে সাধারণত যে দেয়ালে টেলিভিশন স্থাপন করবেন, তার নিচে রাখতে পারেন তাকের আয়োজন। তাক সাজাতে করতে পারেন শোপিসের ব্যবহার। মূল দরজার পাশে যদি জায়গা থাকে, তবে সেখানেও রাখতে পারেন এমন আয়োজন।

বসার ঘরে ডেকোরেটিভ তাক দেওয়া ভালো

নিচে জুতা রেখে ওপরে তাকগুলো ব্যবহার করতে পারেন শোপিস স্ট্যান্ডের জন্য। এদিকে খাবার ঘরের তাকগুলোর আদলে আসতে পারে ড্রয়ারের আবহ। এতে একসঙ্গে রাখা যাবে অনেক জিনিস। খাবার ঘরে তৈজসপত্রসহ প্রয়োজন হয় নানা ধরনের অনুষঙ্গের। তাকগুলো ড্রয়ারের মতো বন্ধ থাকলে বাইরে থেকে দৃষ্টিকটু লাগবে না। এদিকে খাবার ঘরে সব তাক একই আয়তনে না বানিয়ে তাতে আনতে পারেন এল আকারের আকৃতি। এতে খাবার ঘরের অন্দরসাজে আসবে বৈচিত্র্য।

বাসায় যদি ছোট শিশু থাকে, তার পড়ার টেবিলটাও সংযুক্ত করতে পারেন দেয়ালের সঙ্গে। এত ঘরের জায়গা অনেকাংশেই বেঁচে যাবে। ছবির মতো এক পার্টের কাঠ দেয়ালে জোড়া লাগিয়ে দিন। এবার টেবিলের ওপর দুই ফুটের মতো জায়গা ফাঁকা রাখুন। এর ওপরে তাক বসিয়ে বইপত্র রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে টেবিলের রং বাদামি আর তাকের রং সাদা হলে ভালো দেখায়।

শিশুদের জন্য এক পার্টের কাঠ দেয়ালে জোড়া লাগিয়ে বানাতে পারেন তাক

শোবার ঘরেও থাকতে পারে তাকের আয়োজন। কাপড়চোপড় রাখার তাকগুলোতে দরজার ব্যবস্থা রাখাই ভালো। বিছানার ওপরে দেয়ালে চাইলে তাক বসিয়ে বই রাখার আয়োজন করতে পারেন। প্রসাধনসামগ্রী রাখতে আয়নার নিচে তাকের ব্যবস্থা রাখতে পারেন।

এখন কমবেশি সব বাসায় রান্নাঘরে তাকের ব্যবস্থা থাকে। খুব ভালো হয় যদি এই তাকে রঙের ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনা যায়। রান্নাঘরের তাকগুলোতে একটু উজ্জ্বল রং, যেমন নীল, টিয়া সবুজ বা হলুদ রঙের ব্যবহার করতে পারেন। যদি তাকে পাল্লা থাকে, তবে সেখানেও করতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের ব্যবহার।

দেয়ালের তাকে রঙের বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ

ঘরের দেয়ালে তাক বসানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা খুর জরুরি। যেমন একই ঘরের দেয়ালে একসঙ্গে খুব বেশি তাকের ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ঘর হিজিবিজি দেখায়। দেয়ালের তাকে রঙের বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঘরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রঙের ব্যবহার দেয়ালের তাকে না থাকে, তবে তা পুরো ঘরের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। এদিকে ঘরের সব তাকেই পাল্লার ব্যবহার করেন অনেকে। আবার অনেক বাসাতেই সব তাকই থাকে খোলা। এতে তাকে রাখা জিনিসগুলো নষ্ট হয়ে যায় দ্রুতই। তাই কোন তাকে কী রাখছেন, তার ওপর নির্ভর করে দেয়ালের তাক বানানোর চেষ্টা করুন। আর যদি প্রয়োজন হয়, তবে অবশ্যই দেয়ালের তাকে পাল্লার ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।