Thank you for trying Sticky AMP!!

পরিবেশনে নান্দনিকতা

>
ঈদের আপ্যায়নে টেবিলের সাজ হতে হবে নান্দনিক। কৃতজ্ঞতা: আফরোজা নাজনীন, ছবি: নকশা

উৎসব ধরে টেবিলে খাবারের পরিবেশনায় ভিন্নতা আনা যায়। এ ভিন্নতার প্রধান অনুষঙ্গ তৈজসপত্র। আবার খাবারের ওপরও নির্ভর করে কেমন তৈজসপত্র ব্যবহার করা হবে।

এই যেমন ঈদের দিন খাবার টেবিলে পোরসেলিনের তৈজস দেখতে বেশ ভালো লাগে। আবার ক্রিস্টালের ক্রোকারিজে খাবার একটু বেশিক্ষণ গরম থাকে, তাই এ ধরনের ক্রোকারিজও ঈদের দিন বেছে নিতে পারেন। বললেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলশান নাসরিন চৌধুরী।

চায়ের টেবিলেও রুচির পরিচয়

আবার ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আনোয়ারা বেগম জানালেন, মাংস ও ঝোলজাতীয় খাবার পরিবেশনের জন্য গর্তওয়ালা বাটি ব্যবহার করা ভালো। তবে রোস্ট, মাছ, কাবাব ইত্যাদি শুকনা বা হালকা ভেজা ভেজা খাবার সমতল (ফ্ল্যাট) কোনো থালায় পরিবেশনের পরামর্শ দিলেন তিনি। খাবার পরিবেশনের সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন প্রতিটি থালা-বাটিসদৃশ হয়। তাহলে একটা সেট মনে হবে।

টেবিলে খাবার সাজানোর সময় ছোট ছোট কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। টেবিল ছোট হলে বেশি তৈজসপত্র না রাখাই ভালো। আনোয়ারা বেগম বলেন, আজকাল অনেকেই খাবার টেবিলের পাশে দেয়ালের সঙ্গে মার্বেল পাথর বা কাঠের তাক বানিয়ে নেন। সেখানে সারি করে খাবারের থালাবাটি রাখা যায়। মিষ্টিজাতীয় খাবার ও পানীয় টলি ট্রে-তে রাখা যেতে পারে। সস, লবণ, গোলমরিচ রাখার জন্য পাত্র কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই রাতের খাবারের সময় মৃদু আলোর আবহ পেতে স্পটলাইট ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের শখ পূরণ করতে পারেন।

চায়ের টেবিলেও রুচির পরিচয়

টেবিল সাজানোর ব্যাপারে রঙের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে বলেন গুলশান নাসরিন চৌধুরী। তৈজসপত্র, ন্যাপকিন, ম্যাট ও রানারের রঙে যেন সামঞ্জস্য থাকে। একটু হালকা রং ও নকশার ম্যাট ও রানার খাবার টেবিলে নান্দনিক আবহ তৈরি করে। উৎসবের আয়োজনে যা ভিন্ন মাত্রা এনে দেবে আপনার খাবার টেবিলে।