Thank you for trying Sticky AMP!!

মেলবোর্নে বসবাসরত নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীরা যেদিন এক হলেন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই আয়োজন

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাসরত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এক হয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ২৪ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁদের এই আয়োজন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্কৃতি উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে

‘বাংলার বৈচিত্র্য’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত শনিবার দুপুরে মেলবোর্ন শহরের বন্দরঘেঁষা লাইব্রেরি অ্যাট দ্য ডকসে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ১৯৯৪ থেকে ২০১৭ ব্যাচের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য-স্বজনেরা এক হয়েছিলেন। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বর্তমান বিশ্বের নানা প্রান্তে চলমান যুদ্ধে নিপীড়িত মানুষের প্রতি সমবেদনা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

Also Read: নর্থ সাউথের উপাচার্য: একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ করছি

এরপর মঞ্চে আসেন দুজন বন্ধু। তাঁদের স্মৃতিচারণায় উঠে আসে বাংলাদেশের নানা অঞ্চল ও  সংস্কৃতির কথা। চাটগাঁইয়া ভাষার আঞ্চলিক গান, ভাটিয়ালি গান, যশোরের সেই বিখ্যাত ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, সাঁওতালি গান, ময়মনসিংহের প্রচলিত কীর্তন কিংবা পুরান ঢাকার ‘ঢাকাইয়া গান’—সবই মঞ্চে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন আয়োজকেরা। এ ছাড়া ছিল ‘বিহু’ নৃত্য, সঙ্গে একুশের ইতিহাস, আন্দোলন, ত্যাগ, প্রাপ্তি তুলে ধরে একটি নাচ।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ১৯৯৪ থেকে ২০১৭ ব্যাচের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য-স্বজনেরা এক হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে


মেলবোর্ন এনএসইউয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহের উদ্দিন বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্ম, যারা এখানে বড় হচ্ছে, তাদের সামনে আমাদের দেশের ভাষার ইতিহাস, ঐতিহ্যটা তুলে ধরার জন্যই মূলত এ আয়োজন। ওরা শুধু বাংলা ভাষার কথা জানে। কিন্তু বাংলাদেশে আরও কত অঞ্চল আছে, সব কটি অঞ্চলেরই যে আলাদা সৌন্দর্য আছে, সেই সব ধারণাই আমরা দিতে চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি নিজেরাও বাংলাদেশের সংস্কৃতির চর্চাটা ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।’