Thank you for trying Sticky AMP!!

একেবারেই বরিশালের

>নারকেল দিয়ে বরিশাল অঞ্চলে তৈরি হয় নানা সুস্বাদু খাবার‌। তেমনি কিছু খাবারের রেসিপি দিয়েছেন ইশরাত হক

চিচিঙ্গা ভাজিতে নারকেল চিংড়ি

উপকরণ: চিচিঙ্গা আধা কেজি, চিংড়ি আধা কাপ, নারকেলবাটা আধা কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬টা, আদা আধা চা-চামচ, রসুন আধা চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, জিরাগুঁড়া (টেলে নিয়ে) আধা চা-চামচ, তেজপাতা ১টা ও লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: প্রথমে চিচিঙ্গাগুলো ছোট ছোট টুকরা করুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ও তেজপাতা দিয়ে একটু ভেজে চিংড়ি ও সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। এবার নারকেলবাটা দিয়ে আবার কষান। এরপর এতে চিচিঙ্গা দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ চুলায় রাখুন, যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা সেদ্ধ হয়। সেদ্ধ হলে কাঁচা মরিচ ও জিরাগুঁড়া দিয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

 বরিশালের পানীয় মোলিদা

উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা ছটাক, কোরানো নারকেল আধা কাপ, আদা আধা ইঞ্চি, এলাচি ২টা, পানি ৪ গ্লাস, চিনি ২ টেবিল চামচ ও মুড়ি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এর সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে শিলপাটায় বেটে নিন অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন। ওপর থেকে একটু মুড়ি ছড়িয়ে দিন। এবার পান করুন মোলিদা।

নারকেল দুধে ডিমের কোরমা

উপকরণ: আমড়া ২টা, মুরগির ডিম ২টা (সেদ্ধ), নারকেলের দুধ আধা কাপ, আদা, রসুন, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ, মরিচগুঁড়া এক চিমটি করে, এলাচি ২টা, দারুচিনি ১ টুকরা (ছোট), তেজপাতা ১টা, চিনি ১ চিমটি ও কাঁচা মরিচ ৫/৬টা।

প্রণালি: প্রথমে আমড়া ছিলে একটু চিড়ে নিন। একটি পাত্রে তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। তেল তেতে উঠলে গরমমসলাসহ সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। কষানো হলে প্রথমে আমড়া দিয়ে আরেকটু কষিয়ে সেদ্ধ ডিম দিয়ে দিন। এবার নারকেলের দুধ দিয়ে আমড়া সেদ্ধ করতে হবে। আমড়া সেদ্ধ হয়ে যখন মাখা মাখা ঝোল হবে, তখন চিনি, লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন। ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে এটা খাওয়া যাবে।

নারকেল চিংড়ি দিয়ে কলমিশাক

উপকরণ: কলমিশাকের কুচি আধা কেজি, নারকেলবাটা আধা কাপ, চিংড়ি আধা কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ও রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ করে, আদা ও জিরাবাটা আধা চামচ করে, ভাজা জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো ও কাঁচা মরিচ ৫/৬টা।

প্রণালি: প্রথমে কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি দিয়ে ভাজুন। তারপর এতে চিংড়ি ও বাকি সব মসলা দিন। আবার একটু ভেজে নিন। তারপর দিন নারকেলবাটা। আরও একটু ভাজুন। এবার এতে কলমিশাকের কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। সেদ্ধ হলে শাকের পানি সব শুকিয়ে ভাজা ভাজা করতে হবে। এবার কাঁচা মরিচ ও জিরাগুঁড়া দিয়ে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।