Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন পদে নবমী

রোদ উঠেছে। আকাশ পরিষ্কার। তাই বলে খিচুড়ি খেতে তো আর মানা নেই। তাই নবমীতে খিচুড়ি হতেই পারে। তার সঙ্গে বেগুন ভাজা আর আলু-ঢ্যাঁড়সের মিতালিতে জম্পেশ হবে আহার। সঙ্গে একটু ঘি হলে তো কথাই নেই। যেন সোনায় সোহাগা। চমৎকার তিনটি রেসিপি দিয়েছেন অধ্যাপক শাহীনা দেওয়ান

পাঁচমিশালী ডালের খিচুড়ি

পাঁচমিশালী ডালের খিচুড়ি

উপকরণ

বুটের ডাল, মসুর ডাল, ভাজা মুগ ডাল, মাষকলাইয়ের ডাল আধা পট করে। পোলাওয়ের চাল ৩ পট। তেল ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা, গরমমসলার গুঁড়ো, আদা-রসুনবাটা, কারি পাউডার, মাংসের মসলা, চাট মসলা ও কাসুরি মেথি প্রয়োজনমতো, পেঁয়াজকুচি এক কাপ, তেজপাতা ৪টি, লবণ ৫ চা–চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি।

প্রণালি

বুট ও মাষকলাইয়ের ডাল দুই ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। একইভাবে মুগ ডাল ভেজে নিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে; মসুর ডাল ধুয়ে নিতে হবে। চালও ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটি প্যানে তেল ও ঘি মিশিয়ে তাতে তেজপাতা ও গরমমসলার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে সব মসলা দিয়ে দিতে হবে। তারপর আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে দিতে হবে। এবার ৫ চা–চামচ লবণ দিতে হবে। ভালো মতো কষানো হলে এক লিটার পরিমাণ গরম পানি দিতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে হাঁড়ির নিচে একটি তাওয়া দিয়ে খিচুড়ি দমে রাখতে হবে। ১০-১২টি কাঁচা মরিচ দিয়ে, ওপরে চাট মসলা ও কাসুরি মেথি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন অসাধারণ এই খিচুড়ি।

আলু-ঢ্যাঁড়সের মিতালি

আলু-ঢ্যাঁড়সের মিতালি

উপকরণ

টুকরো করে কাটা ঢ্যাঁড়স দুই কাপ, সেদ্ধ আলু চৌকো করে কাটা দুই কাপ, সরষের তেল দুই টেবিল চামচ, সয়াসস, হলুদ, মরিচ, ধনে, চিলি ফ্লেকস, গরমমসলার গুঁড়ো ও চাট মসলা পরিমাণমতো, লেবুর রস এক টেবিল চামচ এবং পেঁয়াজের বেরেস্তা আধা কাপ।

প্রণালি

দুটি আলুকে ছয় টুকরা করে কেটে তেলে জিরার ফোড়ন ও হালকা হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। অন্য একটি প্যানে অল্প সরষের তেল দিয়ে ঢ্যাঁড়স ফ্রাই করে নিতে হবে। তাতে পরিমাণমতো সয়াসস, হলুদ, মরিচ, ধনে, চিলি ফ্লেকস ও গরমমসলার গুঁড়ো দিতে হবে। এর সঙ্গে আরও দিতে হবে চাট মসলা। এরপর সেদ্ধ করা আলুটি ঢ্যাঁড়সের সঙ্গে মিশিয়ে ওপরে লেবুর রস ও বেরেস্তা দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। আলু ও ঢ্যাঁড়সের অন্য রকম পদটি পরিবেশন করতে পারেন যেকোনো কিছুর সঙ্গে। খাওয়ার পর প্রশংসা আপনাকে করতেই হবে।

বেগুনভাজা

বেগুনভাজা

উপকরণ

বেগুন চাকা চাকা করে কাটা, বেসন, চালের গুঁড়ো, হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা, গোলমরিচের গুঁড়া ও লবণ পরিমাণ মতো, সামান্য আদাবাটা, ডিম একটি, বেকিং পাউডার আধা চা–চামচ ও ভাজার জন্য তেল।

প্রণালি

গোল বা লম্বা করে বড় সাইজের বেগুন কেটে তাতে হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরাগুঁড়া, সামান্য আদাবাটা ও লবণ মাখিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিতে হবে। তারপর বেসন ও চালের গুঁড়া দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার একটি ডিম ফেটে নিতে হবে। ফেটানোর সময় অল্প হলুদ, মরিচ, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো ও আধা চা–চামচ বেকিং পাউডার দিতে হবে। এবার বেগুনগুলোকে এই মিশ্রণে ভিজিয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গে জমে যাবে এই বেগুনভাজা।

রন্ধনশিল্পী: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ঢাকা এবং সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ