Thank you for trying Sticky AMP!!

অষ্টমীর আয়োজনে জোড়া পদ

মহাষ্টমীর পাতে

মহাষ্টমীর দিনটাও মেঘলা। মনমরা। বাইরে যেতে ইচ্ছা করে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে ঘুরে এলেও খেতে তো হবে। তাই থাকল দুটি মাজাদার নিরামিষ পদ এই দিনের জন্য। রেসিপি দুটি শেয়ার করেছেন অধ্যাপক শাহীনা দেওয়ান

মসলা ছোলা

মসলা ছোলা

উপকরণ

সেদ্ধ ছোলা ২০০ গ্রাম, আলুসেদ্ধ আধা কাপ, টমেটোকুচি ছোট ২টি, পেঁয়াজকুচি সিকি কাপ, হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা, কারি পাউডার, গরমমসলার গুঁড়া, চাটমসলা—সব উপকরণ আধা চা–চামচ করে। কাসুরি মেথি, কাঁচা মরিচ, কারিপাতা, লবণ, ধনেপাতা পরিমাণমতো, তেঁতুলের ক্বাথ সিকি কাপ, চিনি দেড় চা–চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ ও আদা-রসুনবাটা ১ চা–চামচ।

প্রণালি

একটি কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ সাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিতে হবে। আধা বাদামি রং হলে তাতে টমেটোকুচি, আদা-রসুনবাটা ও অন্য সব মসলা দিয়ে ভালোমতো কষাতে হবে। সেদ্ধ কাবুলি ছোলা ও সেদ্ধ আলু (চৌকো করে কাটা) দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর এক কাপ গরম পানি দিতে হবে। একটু ঝোল থাকা অবস্থায় তেঁতুলের ক্বাথে চিনি মিশিয়ে ঢেলে দিতে হবে। এরপর চাটমসলা, কাসুরি মেথি ও ভাজা জিরার গুঁড়া দিতে হবে। সবশেষে ৮ থেকে১০টি কারিপাতা ও ধনেপাতার কুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। অসাধারণ এই মসলা ছোলা খেতে বড়ই মজাদার। গরম-গরম পরিবেশন করুন লুচি বা পরোটার সঙ্গে।

রকমারি সবজি

রকমারি সবজি

উপকরণ

পেঁপে, আলু, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, বরবটি, পটোল এক কাপ করে; বুটের ডাল ১ কাপ; হলুদ, ধনে, জিরাগুঁড়া, কারি পাউডার ১ চামচ করে; চেরা কাঁচা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, ধনেপাতা পরিমাণমতো, বাগাড়ের জন্য পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, জিরা ও পাঁচফোড়ন পরিমাণমতো, আদাবাটা দেড় চা–চামচ ও তেল ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি

বুটের ডাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর প্রতিটি সবজি আলাদাভাবে এক কাপ করে নেব। সব সবজি একটি প্যানে নিয়ে সব মসলা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে মাখাতে হবে। সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ তেল দিতে হবে। এতে বুটের ডাল মিশিয়ে সমান লেভেলে পানি দিয়ে চুলায় বসাতে হবে। মাখা মাখা অবস্থায় (অল্প পানি থাকতে) ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এবার অন্য প্যানে ঘি দিয়ে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে নাড়তে হবে। বাদামি রং হয়ে এলে পাঁচফোড়ন ও জিরা দিয়ে নামিয়ে নিয়ে সবজির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এই বাগাড় সবজির স্বাদ বহুগুণে বৃদ্ধি করে। এটিও লুচি, ভাত, খিচুড়ি—সবকিছুর সঙ্গেই পরিবেশন করা যাবে।

রন্ধনশিল্পী: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ঢাকা এবং সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ