সুস্বাদু পানীয় হিসেবে স্মুদি বেশ জনপ্রিয় এখন। বলা চলে স্মুদি খাওয়ার একধরনের ট্রেন্ডই চলছে আমাদের শহরে। বাড়ির বাইরে গেলেই চোখে পড়বে হরেক রকমের স্মুদির দোকান। নানান বয়সের মানুষ ভিড় করছে সেসব দোকানে। এ ছাড়া অনলাইন তো আছেই—ইচ্ছা হলেই অর্ডার করে খাওয়া যায় স্মুদি।
ভালো লাগে বলেই মানুষ স্মুদি খায়, সেটা যেমন একটা বিষয় তেমনি এর সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো থাকারও যোগাযোগ আছে। এর জনপ্রিয়তার এটাও একটা কারণ। স্মুদি, ত্বকের যত্নে এখন বেশ জনপ্রিয় পানীয় এটি। শরীরের ভেতরকার টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে স্মুদি, যে কারণে ভেতর থেকেই ত্বক হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল। ভেতর থেকে ত্বক পুনর্গঠনে স্মুদির জুড়ি মেলা ভার।
কী এই স্মুদি?
সাধারণত সব ধরনের ফল, সবুজ শাকসবজি, দুধ, বাদাম, মধু আর ওটসের সমন্বয়ে তৈরি হয় এ স্মুদি। কখনো মেশানো হয় পানি। যে কারণে একই সঙ্গে মিলে যায় অনেক খাবারের পুষ্টিগুণ। গ্রিন লাইফ হাসপাতালের পুষ্টিবিশেষজ্ঞ জেনিফার বিনতে হক বলছিলেন, ওজন কমাতেও বেশ কাজে দেয় এই স্মুদি। বেশিক্ষণ পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে যে কারণে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে। দুই থেকে তিন ধরনের ফলসহ অন্যান্য উপকরণ থাকার কারণে স্মুদিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবারের কারণে পেট পরিষ্কার থাকে। যে কারণে ব্রণের মতো সমস্যা সহজে এড়ানো যায়। এ ছাড়া প্রতিটি স্মুদি প্রচুর প্রোটিনে পরিপূর্ণ। আরও আছে লো কার্বস এবং ভালো চর্বি। দই, ফল, সবজির মিশ্রণে তৈরি স্মুদিতে থাকা পানি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রেখে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখতে যেভাবে স্মুদি বানাবেন
১. ১ কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ২ চা–চামচ চিয়া সিড, বিভিন্ন ধরনের বাদাম আধা কাপ মিশিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এই স্মুদিটি ত্বকের ওপরিভাগের মসৃণতা ধরে রাখবে। পাশাপাশি ত্বক পুনর্গঠনেও সাহায্য করবে।
২. আধা কাপ করে জাম্বুরা ও পাকা পেঁপের সঙ্গে একটি ছোট্ট আমড়া, ছোট কমলা ও আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। এই স্মুদি ত্বকে সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
৩. একটি ছোট কলার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ওটস, আধা কাপ দুধ, কোরানো নারকেল দুই টেবিল চামচ মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন স্মুদি। এই স্মুদি নিয়মিত খেলে সহজে বুড়িয়ে যাবে না ত্বক।
৪. একমুঠো পালংশাক, আধা কাপ বাঁধাকপি, আধা কাপ ব্রুকলি, আধা কাপ শসার সঙ্গে আধা কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এই স্মুদি ভেতর থেকে ত্বকের সব ধরনের সুরক্ষা দিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি দূর করবে ত্বকের পোড়া ভাব।
জেনে নিন
এক এক স্মুদির এক এক রকম গুণাগুণ। সে জন্য একই উপাদানে তৈরি স্মুদি প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে একেক দিন এক–একটি স্মুদি খেলে মিলবে উপকার। সাধারণত সকালের খাবার খাওয়ার পরপরই স্মুদি খাওয়া ভালো। না হলে খেতে পারেন মিড ব্রেকফাস্টে।