Thank you for trying Sticky AMP!!

সবচেয়ে সহজ রেসিপিতে মজাদার বাটার ডাল ফ্রাই

বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের ভেতর ডাল অন্যতম। ‘দামে কম, মানে ভালো’ খাবারের তালিকা করলেও ডালকে রাখতে হবে ওপরের দিকে। এ কারণেই বোধ হয় কাউকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ব্যাপার থাকলে বিনয়ের সঙ্গে হাত কচলাতে কচলাতে বলা হয়, ‘তেমন কিছু নয়, এই সামন্য দুটো ডাল-ভাত খাবেন গরিবের বাসায়।’ দাওয়াত খেতে গিয়ে অবশ্য দেখতে পারেন ডাইনিং টেবিলে শোভা পাচ্ছে কমপক্ষে ডজনখানেক পদ! সেটা ভিন্ন আলাপ...

দামে কম, মানে ভালো— এরকম খাবারের তালিকা করলেও ডালকে রাখতে হবে ওপরের দিকে

আজকে ডালের যে রেসিপি নিয়ে কথা বলছি, সেটা বানানো খুবই সহজ। আর খেতে দারুণ মজা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের ক্যানটিনের জনপ্রিয় খাবারগুলোর একটি এই বাটার ডাল ফ্রাই। ডালের এই রেসিপি সবারই খুব পছন্দ। তাই মনে হলো, প্রথম আলোর পাঠকেরা কেন এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন? আপনারাও বাড়িতেই বানিয়ে খেতে পারেন মজাদার এ খাবার।

কী কী লাগবে

খুবই অল্প কয়েকটা উপাদানেই হবে এ রান্না। মসুরের ডাল, মুগের ডাল, হলুদ, মরিচগুঁড়া, বাটার, রসুন ও শুকনা মরিচ। পরিবেশনের জন্য পেঁয়াজ, লেবু।

সবচেয়ে সহজ রেসিপিতে মজাদার বাটার ডাল ফ্রাই

কীভাবে রান্না করবেন


খুবই সহজ।

১. মুগের ডালটা আপনি চাইলে আগে সামান্য একটু ফ্রাই করে নিতে পারেন। যে পরিমাণ মুগের ডাল নেবেন, সমপরিমাণ নেবেন মসুরের ডাল। এই দুই পদের ডাল মিশিয়ে ভালো করে ধুয়ে ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে ডালগুলো নরম হয়ে থাকবে। ফলে সহজেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।

২. এরপর ডাল সেদ্ধ পানিতে হতে দিন। বলক উঠলে ওপর থেকে চামচে করে ডালের ফেনা ফেলে দেবেন। ডাল সেদ্ধ করার সময় বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না। তাহলে ডালগুলো ভাঙবে না। আবার যথেষ্ট সেদ্ধও হবে।

৩. যখন মাঝামাঝি সেদ্ধ হয়ে উঠবে, তখন ডালের ভেতর পরিমাণমতো লবণ, সামান্য হলুদ আর শুকনা মরিচের গুঁড়া দিন। পানি কমে ডালটা যখন একেবারে ঘন হয়ে উঠবে, বুঝবেন সেদ্ধ হয়ে গেছে।

প্রথম আলোর ক্যানটিনে এই ডাল খাওয়া হয় মুচমুচে শাহি পরোটা দিয়ে

৪. এবার একটা কড়াইয়ে সামান্য বাটার নিন। বাটার না থাকলে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ঘি না থাকলে সয়াবিন তেলেই কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। তবে তাতে স্বাদ আর ঘ্রাণে সামান্য হেরফের হবে। সামান্য বাটার/ঘি বা তেল ব্যবহার করবেন, যেটুকু না করলেই নয়। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে রান্না শেষে কোনোভাবেই তেল ভেসে না আসে।


৫. তেল গরম হলে সেখানে কয়েকটা রসুনকুচি, শুকনা মরিচ দিন। সেটা ভাজা ভাজা হয়ে এলে ডাল ঢেলে দিন।

আপনি চাইলে রুটি, নান, পোলাও বা সাদা ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন এই বাটার ডাল ফ্রাই

ব্যস, হয়ে গেল মজাদার বাটার ডাল ফ্রাই। এবার এটা লেবু, পেঁয়াজকুচি, বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন। কীভাবে রান্না হয়েছে, জানতে চাইতেই মহা উৎসাহে রেসিপি দিলেন প্রথম আলোর ক্যানটিনের প্রধান রাঁধুনি শহীদুল ইসলাম। ক্যানটিনে এই ডাল খাওয়া হয় মুচমুচে শাহি পরোটা দিয়ে। আপনি চাইলে রুটি, নান, পোলাও বা সাদা ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। ক্যানটিনে অনেকে আবার একটি লেবু চিপে শুধুই খান এই বাটার ডাল ফ্রাই।