Thank you for trying Sticky AMP!!

কীভাবে বুঝবেন সিচুয়েশনশিপে আটকে আছে সম্পর্ক

সিচুয়েশনশিপ (দায়হীন সম্পর্ক) জটিল সম্পর্কের রসায়ন, যেখানে হৃদয় আদান-প্রদানের ব্যাপার থাকলেও প্রতিশ্রুতি থাকে না। যখন ইচ্ছে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে পারে দুজনের যে কেউ। আপনার সম্পর্ক সিচুয়েশনশিপে আটকে আছে কি না যেভাবে বুঝবেন

সিচুয়েশনশিপে কেউ কোনো প্রত্যাশাও রাখে না। মডেল: সৌরভ অভি ও কাব্য

১. আপনারা নিজেদের সম্পর্ককে কখনো কোনো প্রেম বা ভালোবাসার তকমা দেননি। প্রায়ই আপনি বা তিনি বা দুজনই অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটাতে যান।

২. সম্পর্ক ছোট হোক বা বড়, যুক্তিসংগত হোক বা অযৌক্তিক—সেখানে আমাদের প্রত্যাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সিচুয়েশনশিপের ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী আপনার ফোন ধরবেন কি না বা মেসেজের রিপ্লাই দেবেন কি না, একবার দেখা হওয়ার পর পরে দেখা কখন হবে, এসব ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম থাকে না। তাই সিচুয়েশনশিপে কেউ কোনো প্রত্যাশাও রাখে না।

৩. নিয়মিত ও গভীর যোগাযোগ না থাকা। সিচুয়েশনশিপের ক্ষেত্রে যোগাযোগ কখনো নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম মানে না। সপ্তাহে কেউ তিন-চারবার কথা বলতে পারেন। তেমনি কখনো মাসের পর মাস যোগাযোগ না-ও হতে পারে। একসঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর পরও যোগাযোগে গভীরতা থাকে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যোগাযোগ হয় বিক্ষিপ্ত।

চোখের আড়াল হলেই আর কোনো যোগাযোগ থাকে না যে সম্পর্কে সেটা সিচুয়েশনশিপ

৪. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয় না। সম্পর্কে সাধারণত একসঙ্গে বের হওয়া, ঘুরতে যাওয়া, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—এসব নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সিচুয়েশনশিপে এ রকম কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকে না। এমনকি ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনাও হয় না।

৫. সম্পর্কটি সুবিধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। সঙ্গীরা একে অন্যের চাওয়াকে অগ্রাধিকার দেন না। সাধারণত নিজের সুবিধা অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজান।

৬. সঙ্গীর সঙ্গে আপনার দেখা হলে মনে হয় একে অন্যের প্রতি অনুরক্ত। একসঙ্গে বসে হয়তোবা অনেক কিছু করার পরিকল্পনাও করেছেন। কিন্তু চোখের আড়াল হলেই আর কোনো যোগাযোগ থাকে না। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো তাড়াও অনুভব করেন না।